গিয়াস উদ্দিন, পটিয়া প্রতিনিধি: [২] তাদের তৎপরতায় পটিয়ার মতো গণবসতিপূর্ণ এলাকায় এখনো পর্যন্ত একজনও আক্রান্ত হয়নি করোনাভাইরাসে। এলাকায় জঠলা পাকানোর খবর পেলেই পুলিশ ছাড়াও রাত কি দিন ছুটে যাচ্ছেন এলাকায় তারা। সাধারণ শাস্তি বা এলাকার লোকজনকে করোনাভাইরাসের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে বুঝিয়ে বাসায় ফিরেছেন ওই দুই কর্মকর্তা। নানা সময় বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়তে হচ্ছে তাদের। তারপরও থেমে নেই তাদের মহৎ তৎপরতা।
[৩] তাদের একজন হচ্ছেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা এবং পটিয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান।
[৪] মধ্যরাতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে গিয়েছেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা। গত ২১ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আশিয়া ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের রশিদপুর গ্রামের মোহাম্মদ জাবেদের ঘরে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে ইউএনও।
[৫] একই রাতে কাশিয়াইশ ও জিরি ইউনিয়নে আরো দুজন প্রবাসীর হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য রাতে অভিযান করে নির্দেশনা দেন ইউএনও। করোনাভাইসের কারণে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউএনও যেখানে লোকজন জঠলা পাকাচ্ছেন সেখানেই ছুঁটে যাচ্ছেন। তিনি প্রত্যন্ত কচুয়াই ইউনিয়নের টি স্ট্রেট এলাকায় করোনার কারণে ঘরে আটকে পড়া গরীব লোকজনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছেন।
[৬] অপরদিকে পটিয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান পটিয়ার এমন কোন এলাকা নেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন না। তিনি করোনাভাইরাসের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে নানা প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানাসহ নানা শাস্তির ব্যবস্থা করছেন দেশীয় আইন অমান্যকারীদের।
[৭] পটিয়ার ওই দুই সরকারি কর্মকর্তার কঠোর আইনপ্রয়োগ এবং নানা সহযোগিতার কারণে পটিয়া এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ নেই বললেই চলে। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে এলাকাবাসী। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ