আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি :[২] করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অঘোষিত লকডাউনে ঘরবন্দি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ। উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত কাজ করছেন। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে এখানকার কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে নেই এই এলাকার দুই এমপি। এনিয়ে অনেকে রসিকতায় বলাবলি করছেন, এই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য দু'জনে আছেন ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’।
[৩] এদিকে সরাইলে করোনা পরিস্থিতিতে এমপি ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেছেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে যারা ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ধর্ণা দিয়েছেন, মানুষের এই দুর্দিনে তাদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সময়ে অসময়ে অনেকেই লোকদেখানো সামাজিকতা নিয়ে হাজির হয়েছেন আগে। সাধারণ মানুষ চাইছে, নিয়ম মেনেই অন্তত খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়াক রাজনৈতিক নেতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
[৪] উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকার শহিদুল ইসলাম, হোসেন আলী, রইছ আলীসহ অনেকে ক্ষোভের সাথে বলেন, সরাইলে দুইজন এমপি আছেন এবং অনেক ধনাঢ্য রাজনৈতিক নেতা আছেন, কাউকেই তো দেখছি না এগিয়ে আসতে। বিল্লাল হোসেন নামে একজন সমাজকর্মী বলেন, হাইব্রিড নেতাদের মানুষের দুঃসময়ে দেখা যায় না।
[৫] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রাজনৈতিক দলের তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সংরক্ষিত আসনের এমপি ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির প্রবীণ নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া দু'জনেই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
[৬] এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) এর ঘনিষ্ঠ এক কর্মী জানান, নেত্রী ঢাকায় অবস্থান করলেও এলাকার খোঁজখবর রাখছেন তিনি। তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক কর্মীরা করোনা প্রতিরোধে এলাকায় গণসচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৭] স্থানীয় সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে তিনি (এমপি) হাসপাতালে আইসিও'তে ছিলেন। এখন মোটামুটি সুস্থ এবং ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে তিনি এলাকার খোঁজখবর নিয়মিত নিচ্ছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :