শেখ মিরাজুল ইসলাম : বিড়াল ছানার দাঁত ফুটলে কারণে-অকারণে কামড়াতে চায়। শুধু বিড়াল ছানাই নয়, মোটামুটি পশু জগতের সব ছানারই নতুন দাঁত গজালে কুটকুট করে। আমার নিজেরও এই অভ্যাস আছে। অভ্যাসটার আরেক নাম হয়তো ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী’। কিছু জানলে বা পড়লে আঙুলের ডগা চুলকাতে থাকে। তা লিখে কাউকে না জানালে যেন শান্তি নেই। এই বদঅভ্যাসের জন্য অনেকবার অবহেলিত হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও ‘চুলকানি’ অটুটই আছে। শিৎকার আর চিৎকার দুটো দুই জিনিস। একটি আশ্লেষে, আরেকটি কষ্টে। প্রহণন আর পীড়নের পার্থক্য বোঝার মতো বাঙালি এখনো অবশিষ্ট আছে বলে আমার মনে হয় না।
অথচ এর রকম ফেরে যন্ত্রণা আর আনন্দের আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা হয় এটা কারও অজানা নয়। কিন্তু যদি বলা হয়, হিংকারের শানে নুযুল কী? সিংহভাগই নিরুত্তর থাকবেন। অবাক লাগে আমাদের দেশে এখনো যৌন চেতনাকে যৌন সচেতনতায় রূপান্তরের কোনো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেই। প্রাইভেটাইজেশনের চেষ্টাও করে না কেউ। এতোই ভীতি এতে।
দাঁত কুটকুট প্রসঙ্গে ফিরে যাই। বাঙালির যৌন প্রীতি/বিকৃতির স্বরূপ খুঁজতে একটু বই-টই উল্টে-পাল্টে কিছু শব্দ পেলাম। মিলন সুখের কিছু শব্দাবলী : অম্বার্থÑ মাগো, আর পারি না, মা তুমি কোথায়। বারাণার্থÑ আর না, এবার তুমি থামো। মোক্ষণার্থÑ আমাকে এবার ছাড়ো, মুক্তি দাও। অলমর্থÑ আচ্ছা এবার অনেক হয়েছে। আরও কিছু টিপস আছে পুরুষের জন্য। বাৎস্যায়ন লিঙ্গ বৃদ্ধির বিষয়ে ঔপনিষদিক পর্বে বলেছেনÑ ‘সাঁড়াশির মতো যন্ত্র দিয়ে বৃক্ষজাত শুঁয়ো পোকা জাতীয় প্রাণী ধরে এনে তাদের লোম দিয়ে লিঙ্গের চার দিকে ভালো করে ঘর্ষণ করে তারপর পর পর দশ রাত ওই লিঙ্গকে তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর খাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে খাটের মধ্যে তৈরি করা একটি ছিদ্র দিয়ে ঝুলিয়ে রাখলে এতে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে’। রমণীর ‘বিরুত ধ্বনি’ শুনতে প-িতদের হাজার বছর ধরে কতো না চেষ্টা। এ যুগের কুলাঙ্গারদের আর কী দোষ? (তথ্য কৃতজ্ঞতাÑ সোমব্রত সরকার)
আপনার মতামত লিখুন :