বিশ্বজিৎ দত্ত : [ [২] আমাদের জিডিপির প্রধান উৎস্য আভ্যন্তরীণ বাজার। এটাকে বজায় রাখতে অর্থ সরবরাহ যথাযথ রাখাই সরকারের অন্যতম কাজ। কারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেলে জিডিপির বৃদ্ধি কমে যাবে। এটি ঠেকাতে হলে মানুষের হাতে অর্থের যোগান বাড়ানোই হবে করোনা পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা। এই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।
[৩] আমাদের বৈদেশিক আয়ের দুটি উৎস্য। একটি রপ্তানিখাত বিশেষ করে গার্মেন্ট। অন্যটি রেমিটেন্স। করোনায় ইতিমধ্যেই প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। মার্চের ১৯ তারিখ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। যদিও রেমিটেন্স এখনো ভাল অবস্থানে আছে। কিন্তু রপ্তানিখাতের অবস্থা খারাপ। করোনার প্রভাব ২ থেকে ৩ মাস স্থায়ী হলে রেমিটেন্সেও প্রভাব পড়বে। মিডলইস্টের দেশগুলো তখন শ্রমশক্তি নাও নিতে পারে। তখন দেশে বেকারত্ব বেড়ে যাবে।
[৪] গার্মেন্টসহ রপ্তানিখাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাদের চাকুরি বা মজুরি কমে গেলে অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সকলখাতেই মন্দা চলে আসবে। সেবাখাতের আয় কমে যাবে। কৃষক ধান উৎপাদন করলেও তার যথাযথ মূল্য পাবে না।ওষুধের শিল্পের ৯৫ শতাংশই দেশে বিক্রি হয়। সেটিও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
[৫] আজ বিজিএমইএ ও রপ্তানিখাতের মালিকরা বৈঠকে বসবেন। তারা একটি পরিকল্পনা দিতে পারে। যাতে ৫ হাজারকোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে দেয়া যায়। তবে সরকার মনে করছে শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টেই টাকা যাবে। যেসব শ্রমিকদের একাউন্ট নেই তাদেরও একাউন্ট করে টাকা দেয়া হবে। কারা রপ্তানিখাতের শ্রমিক সেটা সরকার ও রপ্তানিকারকরা মিলে নির্ধারণ করতে পারে।
[৬] নিজের নির্বাচনী এলাকার গরীব মানুষদের মাঝে সহায়তার বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ৪০ হাজার মাস্ক দিয়েছি। আগামী ১ তারিখ থেকে পরিবার প্রতি চাল, ডাল, সাবান এসব বিতরণ করবো।
[৭] করোনা আক্রান্ত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় সরকার কি করবে রবিবার এ বিষয়ে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :