শরীফ শাওন : [২] তিনি বলেন, পিপিই তৈরিতে মানসম্পন্ন ও স্বিকৃত কাপড় চীন থেকে আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইএলও, হু, ডব্লিউ এফ পি, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থা বিভিন্ন সহায়তার আশ্বাস দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ এর মানসম্পন্ন পিপিই উৎপাদনে কারখানাগুলোতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কাপড়ের সঙ্কট রয়েছে। এছাড়াও কাজের পরিবেশ জীবানুমুক্ত রাখাসহ শ্রমিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সার্বিক সমন্বয়ে অন্তত ৬ মাস বা তার বেশি সময় প্রয়োজন।
[৩] বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে ২০ হাজার পিপিই তৈরির কাজ চলছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরাঞ্চাম (পিপিই) হু এর মানদণ্ডের কাছাকছি নকশায় তৈরি করা হচ্ছে। এটি পানি প্রবেশরোধে শতভাগ কাজ করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তা লেভেল-১ হিসেবে স্বিকৃতি দিয়েছেন। তবে করোনা থেকে সম্পুর্ণ সুরক্ষা পেতে লেভেল ৩-৪ স্তরের হওয়া আবশ্যক।
[৪] রুবানা হক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন প্রণোয়ন সংস্থাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই পিপিইর জন্য অপেক্ষা করছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা কর্মস্থলে যেতে ভয় পাচ্ছেন। আমাদের কাছে আপাতত যা আছে, তা দিয়েই সাহায্য করার চেষ্টা করছি। কারণ তাদের সুরক্ষায় এখন কিছুই নেই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ১ম স্তরের এই পোশাক বানানো হচ্ছে।
[৫] রোববার (২৯ মার্চ) ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানান, বর্তমানে সংগঠনের অনেক সদস্য কাপড় সহায়তা দিচ্ছেন। অনেক কারখানা কম মূল্যে তা বিক্রি করছেন। বাকিটা চীন থেকে কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মানসম্পন্ন পিপিই তৈরি হলে, স্বাস্থ্য অধীদপ্তরসহ সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :