মশিউর অর্ণব : [২] বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়ে (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) পৌঁছেছে, কেননা বর্তমানে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমেই অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন।
[৩] দেশটিতে গত কয়েকদিনে এমন কয়েকজন করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন যারা বিদেশফেরত নন, এমনকি বিদেশ থেকে সংক্রমণ নিয়ে ফিরেছেন এমন ব্যক্তির সংস্পর্শেও তারা আসেননি।
[৪] ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক গিরিধার গিয়ানি জানান- এরকম অজ্ঞাত উৎসের কেসগুলোই 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশন' বা তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ।
[৫] তিনি আরও বলেন- সংশ্লিষ্ট সবাইকে একটি বিষয় বোঝাতে আমি সক্ষম হয়েছি যে, তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের জন্য অপেক্ষা না করে এখনই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দরকার। কেননা এরকম জনবহুল একটি দেশে সত্যিই যদি তৃতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ পৌঁছে যায়, তখন আর কিছুই করার থাকবে না।
[৬] দেশটির একশোরও বেশি পরীক্ষাগারে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজারের মতো রোগীর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি দশ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব।
[৭] ভারতীয় গবেষকদের মতে, এতো কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার কারণে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যাটি জানা সম্ভব হচ্ছে না৷
[৮] অপরদিকে দেশটির চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এখনই ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা শুরু করলে, পরবর্তীতে প্রয়োজনের সময় এবং আসন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে কিটের স্বল্পতা দেখা দিবে৷
আপনার মতামত লিখুন :