আরিফ মাহবুব : ২০২০ সালে পৃথিবীতে যুদ্ধের চিত্রটা মুহূর্তের মাঝেই এভাবে বদলে যাবে তা হয়তো কেউই কল্পনা করার সুযোগ পায়নি। ইউরোপের চিত্রটা এখন যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা প্রায় প্রতিটি দেশেই সেনাবাহিনী রাতদিন শত্রু মোকাবেলায় উঠেপড়ে লেগেছে আর ঠিক মুহূর্তে ইউরোপের প্রতিটি দেশেই প্রধান শত্রু হচ্ছে ছোট্ট একটি ভাইরাস যার নাম কোভিড-১৯ আর এই শত্রুকে মোকাবেলা করতে ইউরোপের প্রায় সব দেশেই লকডাউন, কারফিউ জারি করেও যেন এই শত্রুর মোকাবেলা করা যাচ্ছে না। আজ হয়তো যুদ্ধ হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কিন্তু সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যেদিন পৃথিবীব্যাপী সুপেয় পানির জন্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে, খাতার পাতায় এখন আইএসআইএস তালেবান বা উগ্রপন্থীদের খুঁজে পাওয়া না গেলেও খুঁজে পাওয়া যায় মানুষের শত্রু কোভিড-১৯ ভাইরাস। নিজে সুস্থ থাকুন অপরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করুন, গায়ে পড়ে কারও উপকার করতে যাওয়া মানেই মহামারীকে কাঁধে করে ঘরে টেনে আনা, কারণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোনোভাবেই বিশ্বের যেকোনো দেশের অবস্থার চাইতে ভালো বলা যাবে না, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কোনো ভুল পদক্ষেপ একটি দেশের উপর নিয়ে আসতে পারে এক অসহনীয় দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তাই খুব সাবধানে এই যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে।
সব চাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশের জনসাধারণকে একধরনের গোলক ধাঁধায় ফেলে দিচ্ছেন, এক মাস আগেই মন্ত্রী বলে দিচ্ছেন কোভিড-১৯ ঠেকাতে বাংলাদেশ শতভাগ প্রস্তুত আছে ঠিক একমাস পর সেই মন্ত্রী বলছেন কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই আর ঠিক এভাবেই জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে। বাংলার জনগণকে যখন খুশি, যেভাবেই খুশি আর যা খুশি তাই গেলানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছেন সরকারের কিছু চামচা প্রকৃতির কর্মকর্তা আর মহামান্য আদালত সব দেখেও মুচকি হেসে বিরোধীদলের নেত্রীর প্রতি করুণা প্রদর্শন করে কোভিড-১৯ ঠেকাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে ভিন্ন পথে চালানোর চেষ্টা করছেন, বাংলার জনগণকে যা খুশি গেলানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছে সর্ষের ভেতরে থাকা কিছু ভূত। এ সব ভূতদের আমরা অনেকেই চিনলেও আজ সাহস করে কিছুই বলতে পারি না। কারণ গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে সেটা হয়তো কাউকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। মধ্যম আয়ের দেশ রক্ষায় সরকার যখন হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, সমাজ কর্মীদের জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে পারছে না, তখন জনগণের জন্য পিপিই নিশ্চিত করা কোন্ ছাড়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :