শাওন হারুন : করোনা মানব সৃষ্ট কোনো ভাইরাস নয়। এটা মানব সম্প্রদায় সৃষ্ট অনাচারের শাস্তি হিসেবে আসমানী ‘গজব’। প্রকৃতির প্রতি মানুষের অন্যা- অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘন হয়ে গেছে আরও আগেই। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানুষকে সতর্কও করেন মাঝে মধ্যে। কিন্তু মানুষ সেটা কী বুঝে থাকে? অতীতেও মানুষের এমন সব দাম্ভিক সীমা লঙ্ঘনের কারণে আল্লাহ বহু জাতিকে সমূলে ধ্বংস করেছেন। পবিত্র কোরআনে তার উল্লেখ আছে। আধুনিক যুগেও তেমনই দুর্যোগ নেমে এসেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে। যেমন : ১৭২০, ১৮২০, ১৯২০ এবং বর্তমান ২০২০ সালে একই আসমানী বালা যা করোনা নামে বিশ্বমানুষকে মরণ যন্ত্রণায় কাঁদিয়ে চলেছে। কিন্তু মানুষের বোধ এখনো যেন সেই ভ্রান্তির শেকলেই আটকে আছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ভাইরাস আমাদেরই সীমা লঙ্ঘনের সতর্কবার্তা হয়েই আল্লার তরফ থেকে আসমানী গজব হিসেবে এসেছে। যারা বলছেন এটা জীবাণু অস্ত্রেরই বাই প্রোডাক্ট, তাদের ধারণা ভুল, তারা হয়তোবা জ্ঞান স্বল্পতায় ভুগছেন নয়তো জ্ঞানপাপী বস্তুবাদী, অবিশ্বাসী হিপোক্রাট।
দীর্ঘদিন থেকে বিজ্ঞানীরা মানুষদের সতর্ক করে আসছেন গ্রীনহাউস অ্যাফেক্ট সামনে তুলে ধরে এবং বিভিন্ন নতুন নতুন অনেক অচেনা অণুজীবের আবির্ভাবের খবরও তারা বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানিয়েছেন অনেকবার। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ‘পেন্ডুলাম’ দুলতে দুলতে এরই মধ্যে এই ভয়ংকর করোনার আবির্ভাব ঘটলো। কী ভয়াবহ এর ক্রিয়া ক্ষমতা সেটা মানুষ নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। না এমন প্রাণ সৃষ্টির ক্ষমতা কখনো মানুষের থাকতে পারে না। তাও আবার এক বিধ্বংসী অণুপ্রাণ। তার যে ভয়ংকর কর্মক্ষমতা এবং দ্রুত ‘জিন’ পরিবর্তনের যে অবিশ্বাস্য ক্ষমতার কথা আমরা শুনেছি তা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান সর্বজ্ঞানী আল্লাহ ছাড়া কোনো সৃষ্টির পক্ষেই সম্ভব নয়। এসব বিকৃত ধারণা, কিছুটা বিশ্ব রাজনীতির নোংরা খেলা, কিছুটা বস্তুবাদী ও অবিশ্বাসীদের মূর্খতা। আর এসব ভ্রান্ত ধারণার কুফল হলো মূল সমস্যা থেকে মানবজাতিকে দূরে সরিয়ে রেখে কতক মানুষের শুধুই জাগতিক ঘৃণ্য উদ্দেশ্য হাসিল করা। যার কুফল বেশিরভাগের সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হয়। সঠিক প্রতিকারের জন্য মানুষকে সঠিক তথ্যই জানতে হবে, বুঝতে হবে, মানতে হবে এবং সেটাই হবে এসব আসমানী গজব থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :