শেরপুর-১ তপু সরকার হারুন : [২] সরকারি নির্দেশনায় শেরপুরে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২য় দিনের মত শহর ও গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুধু মাত্র কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও নিত্যপন্যের কিছু দোকান খোলা থাকলে কাষ্টমার নেই । সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কাঁচাবাজার ও নিত্য ভোগ্য পন্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি থাকলেও সন্ধা ৬টার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সব কিছু।
কাঁচাবাজার গুলোতে আসা পন্যের গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে জীবানু নাশক স্প্রে করা নহচ্ছে না । গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট। শহর ও গ্রামের রাস্তায় দু’একটি করে রিকসা, অটোরিকসা দেখা গেলেও ভাড়া পাচ্ছেন না চালকরা। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষজন।
[৩] ২৭ মার্চ্ সন্ধ্যায় দেখা যায় শেরপুরে রেড ক্রিসেন্ট থেকে ছেলেরা রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী ও প্যাছেন্জারের গায়েঁ জিবানু নাশক স্প্রে করছে ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । ঔষুধের দোকান ও কাঁচা বাজার গুলোতে নিদিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে গোল দাগ দিয়ে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য মার্ক করে দেন ।বিভিন্ন ওষদের দোকানের সামনে রাখা হয়েছে জিবানু নাশক স্প্রে ।শহরের অলিগলিতে করা হয়েছে বসানো হয়েছে হাত ধুয়ার ভ্যাসিন ।
[৪] জেলা ও উপজেলায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করে দোকানপাট, যান চলাচল বন্ধ রাখাসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।আর এ নির্দেশনা কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসন,পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব
শেরপুর পৌর শহরের চাপাতলীর রিকসা চালক সোহাগ মিয়া জানান, একদিন রিকসা নিয়ে বের না হলে খাবার জোটে না। তাই রিকসা নিয়ে সকাল থেকে শহরে ঘুরছি। শহরে বা রাস্তায় লোকজন নাই তাই ভাড়াও নাই। আয় রোজগার করতে না পারলে খাবার জুটবে না।
শহরের চকপাঠক এলাকার আরেক অটো রিকসা চালক রাসেল মিয়া জানান,আমরা গরিব মানুষ প্রতিদিন অটো চালিয়ে চাল-ডাল কিনে খাই। গাড়ি চালানো নিষেধ থাকলেও উপায় নাই। অটো নিয়ে এসেছি কিন্তু কোন প্যাসেঞ্জার নাই। সব ফাকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে বউ বাচ্চা নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।
[৫] এদিকে করোনা সতর্কতায় যান বাহনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া রিকসা চালক, ভ্যান চালক, ড্রাইভারসহ বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবি মানুষের সহায়তার জন্য কোন সরকারী বরাদ্ধ থাকলে তা প্রতিটি কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবি মানুষের তালিকা করে প্রতি জনকে বরাদ্ধকৃত কৃত টাকা বা চাল, ডাল যাই হোক শনিবারের মধ্যে তা বিতরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।
এব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফিরোজ আল মামুন স্যারের সাথে কথা হল হয় । তিনি আমাদের সময় ডট.কম কে জানান , শেরপুরের মান্যবর জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব একটি নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সরকারী বরাদ্ধ কৃত ইতিমধ্যে একটি চিঠি পেয়েছেন । এবং কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবি মানুষের তালিকা করার নির্দেশনা ও পেয়েছি । তালিকা করা হচ্ছে এবং দ্রত বরাদ্ধ কৃত চাল বা অন্য কিছু বিতরনের নির্দেশ দেয়া হবে ।
আপনার মতামত লিখুন :