বিধান রিবেরু : ১. থানায় পুলিশ কর্মকর্তার কক্ষে ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার। পরিবারের দাবি পুলিশ তিন লাখ টাকা চেয়েছিলো। পায়নি তাই হত্যা। পুলিশ বলছে আত্মহত্যা। হাজতখানার ফ্যানে। দাঁড়ান দাঁড়ান। হাজতখানায় ফ্যান? পুলিশ বলছে, ওহ সরি, ওখানে নয়, আমাদের ওসি স্যারের রুমে একটি ফ্যান আছে। বেশ হাওয়া দেয়। গরমে যেন সাইবেরিয়া। ওখানেই... আমরাও বিশ্বাস করছি আত্মহত্যাই হবে। লোকটি ভেবেছে এই দেশটি অসহ্য সুন্দর হয়ে গেছে। তাই আমার ফাঁসি দিয়ে এখানেই মরে যাওয়া উচিত। এরপর লোকটি পুলিশের চোখের সামনেই ফাঁসি দিলো।
২. পাট কারখানায় কাজ করে লোকজন। খালি বেতন চায়। বাকি আছে তো কী হয়েছে। এতো বেতন চাইলে ভালো লাগে? তাই পুলিশ গুলি করে দিয়েছে। এবার? বকেয়া বেতন নিয়ে কী হবে? জানটাই যে গেলো। বেতন চাইবে আর? গুলি ভরে দেবো।
অ্যালেন গিন্সবার্গ একটা পাগলা লোক ছিলো। একেবারে উন্মাদ। কী সব আজেবাজে কবিতা লিখেছে সে। নমুনা দিই : এড় ভঁপশ ুড়ঁৎংবষভ রিঃয ুড়ঁৎ ধঃড়স নড়সন. ও ফড়হ’ঃ ভববষ মড়ড়ফ ফড়হ’ঃ নড়ঃযবৎ সব.
ও ড়িহ’ঃ ৎিরঃব সু ঢ়ড়বস ঃরষষ ও’স রহ সু ৎরমযঃ সরহফ. কবিতার ভেতর আপনি পারমাণবিক বোমার জায়গায় মানবিক রাষ্ট্র অথবা গণতন্ত্র কিংবা উন্নয়ন ইত্যাদি বসিয়ে নিতে পারেন। আমার রাজনীতির আলাপ করতে বিরক্ত লাগে এখন। ভাবি কখন নয়া করোনাভাইরাস আসবে, আর আমি বলবো, চলো চলে যাই। পোড়া কপাল তোমার, আমাকেই পেলে। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। এসব বলে ঢ্যাং ঢ্যাং করে চলে যাবো। একদিন হয় তো অনেক কমলা রঙের রোদ উঠবে। আমরা কয়লা হয়ে যাওয়ার পর। মানুষ বলেছিলো কী আসলে কোনো কিছু? কার স্বাধীনতা? কোত্থেকে এসেছে সে? অলীক সমাজ গঠিবে বলে? একে তো অলৌকিক, তাতে আবার জৈবিক সম্পর্ক আরোপ? তলে তলে ধর্ষণ করছো বলে? অণুগল্পগুলোর সঙ্গে বাস্তবের কোনো ঘটনা বা ব্যক্তির মিল পেলে সেটি হবে কাকতালীয়। কারণ আমরা এক পরাবাস্তব দুনিয়ায় আছি। এখানে আমরা টিভি দেখি না। টিভি আমাদের দেখে এবং করে। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :