কাজী আশরাফ : ১. গত ২২ মার্চ থেকে গৃহবন্দি। এর মধ্যে একদিন একবার মাত্র বাইরে গিয়েছিলাম। ২. বাড়ির দক্ষিণ পাশের সদর রাস্তার পাশের মেনগেইট বন্ধ। তালা মারা। ৩. উত্তর পাশের ছোট গেট জরুরি প্রয়োজনে খোলা। সন্ধ্যার পর তালা। ৪. বাড়িতে আমরা তিনটি পরিবার। কোথাও যাতায়াত বন্ধ। ৫. শিশুদের ঘরে রাখা যায় না। এখনো তারা একত্রে খেলছে। তবে সারাদিনে হাতধোয়া কর্মসূচি চালু আছে। ৬. উঠানের দক্ষিণ পাশে একটা ময়লার ভাগাড়কে ফায়ারপ্লেস বানানো হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন একবার করে আগুন জ্বালানো হয়। জীবাণু ধ্বংসের আয়োজন। কারও নাক ঝাড়তে হলে সেখানে যেতে হবে। কফ, থুথু ফেলতে হলে সেখানে যেতে হবে। আগুনে ফেলতে হবে। অথবা টিসু পেপার ব্যবহার করে সে টিসু পুড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিনের গৃহস্থালী বর্জ্য প্রতিদিন পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের সতর্ক করে রাখা হয়েছে। তারা আগুনের কাছে যায় না, ভয় পায়। ৭. প্রতিদিন ঘরের ও বাইরের চিপাচাপায় ব্লিচিংপাউডার মিশ্রিত পানি স্প্রে করা হয়। ৮. ঘরের স্যান্ডেল ঘরে, বাইরের স্যান্ডেল বাইরে। সবার বাইরের স্যান্ডেলের তলায় স্প্রে করা। ৯. পাড়া বেড়ানো অভ্যাস যাদের আছে তাদের এ বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন স্বভাবের ডানপিটে শিশুদেরও। ১০. তুলসী গাছগুলোসহ সব গাছে প্রতিদিন পানি দেওয়া। একমানুষ সমান উঁচু সব গাছের পাতা প্রতিদিন ধুয়ে ফেলা হয়। ১১. গরম পানি খাওয়া। চুলায় সর্বদা রেডি রাখা। ফ্লাস্কেও রাখা হচ্ছে। ১২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শিশুদের শারীরিক খেলা চালু আছে। এরপর পড়া এবং লেখা চলছে। সঙ্গে আছে লুডো, দাবা ও ক্যারমবোর্ড ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা। একঘরে টিভি আছে। আমাদের ঘরে ল্যাপটপে কার্টুন আছে। মুভি আছে। ১৩. দিনে দুইবার করে উঠান ঝাড়ু দেওয়া হচ্ছে। একবার লতাপাইপে পানি দিয়ে ধোয়া হচ্ছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :