সিরাজুল ইসলাম: [২] যৌনকর্মীদের সংগঠন অবহেলিত নারী ঐক্যের সভাপতি ঝুমুর বেগম বলেন, শুক্রবার যৌনকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে তারা স্লিপ দিয়ে এসেছেন। এখনও কিছু স্লিপ বাকি আছে। এগুলো শনিবার দেওয়া হবে।
[৩] যৌনকর্মীরা কষ্টে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রাণের চাল দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। শনিবার থেকে বিতরণ করা হতে পারে।
[৪] গোয়ালন্দ থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ৩০ কেজি করে চাল ও দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।
[৫] করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের সব চেয়ে বড় এই যৌনপল্লী ১৫ দিনের জন্য ২০ মার্চ লকডাউন করা হয়।
[৬] যৌনকর্মীরা জানায়, তারা যা আয় করে, তা ঘর ভাড়া, খাবার ও আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে খরচ হয়ে যায়। ৯০ শতাংশ যৌনকর্মীর সঞ্চয় নেই বললেই চলে। দিন এনে দিন খাওয়ার মতো অবস্থা তাদের। অনেকেরই বাচ্চা রয়েছে। অনেকেরই বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয়। নিজেরা ধারদেনা করে চলতে পারলেও বাড়িতে টাকা পাঠানো সম্ভব হবে না।
[১০] স্থানীয় প্রশাসনের হিসেবে দৌলতদিয়ায় এক হাজার ৬০০ যৌনকর্মী রয়েছে। বাস্তবে যৌনকর্মী রয়েছে তিন হাজারের বেশি। তাদের সন্তান, মা, ভুয়া ও দোকানদারসহ সাড়ে চার হাজারের মতো মানুষ সেখানে বাস করে। ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণ করা হবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে আছেন অনেকে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন
আপনার মতামত লিখুন :