শিমুল মাহমুদ : [২] খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেছেন, খালেদা জিয়া স্বস্তিতে আছেন, মানসিক বল বেড়েছে, আগে যে বিপর্যস্ত চেহারা ছিল সেটাও অনেকটা কমে এসেছে।
[৩] অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ‘ফিরোজা’র দোতলায় ১৫ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন খালেদা জিয়া। ওই ভবনে এখন খালেদার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সদস্য ও নিকট আত্মীয়- স্বজন ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার নেই। নিরাপত্তাকর্মীরা সব সময়ে ফটক আটকে পাহারা দিচ্ছেন। নিরাপত্তাকর্মীরা সব সময়ে ফটক আটকে পাহারা দিচ্ছেন। লন্ডন থেকে পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান শাশুড়ির চিকিৎসা কার্যক্রম তদারক করছেন।
[৪] তিনি বলেন, ম্যাডাম প্রিয়জনদের সাথে মোবাইলে কথা-বার্তা বলতে পারছেন, ডাক্তারদের সাথে কথা বলছেন যেটা সমস্যা যেটা জানাচ্ছেন। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে তিনি সময় কাটাচ্ছেন। কখনও শুয়ে, কখনও বসে, কখনও বই-পত্র পড়ে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
[৫] চিকিৎসার বিষয়ে অধ্যাপক জাহিদ জানান, বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া ওষুধগুলোতে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন আনা হয়েছে। ম্যাডামের হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে। আর্থ্রাইটিসের কারণে হাত-পায়ের জয়েন্টে গুটলি হয়েছে। এগুলো উনাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে, প্রচণ্ড ব্যথা। এই ব্যথা উপশমের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওষুধে কিছুটা পরিবর্তন ও সংযোগ এনেছেন।
[৬] তিনি বলেন, কারাগারের নির্জনতা ও নির্মমতার কারণে ম্যাডাম মানসিকভাবে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছিলেন। উনি অনেকটা শুকিয়ে গেছেন, দুর্বলতাও রয়েছে তার। ওজনও তার ৯-১০ কেজি কমে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :