সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মানব সভ্যতা এক সংকটের মুখোমুখি। সারা বিশ্ব প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত। প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই সংকটকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কষ্ট লাঘবে বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করে সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
[৩] তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে দাঁড়ান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করুন। তবে কেউ কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনে সরকার নির্দেশিত হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন। মতলববাজ, গুজব সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে অবহিত করুন। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য্য, দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম নিয়ে একযোগে সবাইকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ঘরে ঘরে সচেতনতা ও দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে আমরা সক্ষম হবোই।
[৪] ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিবিড়ভাবে দিন-রাত কাজ ও সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জনগণকে রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সামগ্রী বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। শিগগিরই চীন থেকে আরও চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্স ও জনগণ সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই শেখ হাসিনার সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :