কাওসার হামিদ, তালতলী প্রতিনিধি : [২] বরগুনা তালতলী উপজেলাধীন শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলা পাড়া ও আংগার পাড়া দ্বীপের বাসিন্দাদের পারাপারের একমাত্র উপায় খেয়া নৌকা।
[৩] এ দ্বীপে আংগার পাড়া ও চাউলা পাড়া নামে দুইটি গ্রাম গড়ে উঠে। দ্বীপের চার পাশে রয়েছে নদীঘেরা দক্ষিণে আন্দার মানিক নদী, পূর্বদিকে চাকামইয়া নদী, উত্তর ও পশ্চিম দিকে রয়েছে কচুপাত্রা দোন নদী। উপজেলা ও জেলা শহর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিম পাশে কচুপাত্রা দোন নদীতে রয়েছে ৭ টি খেয়া নৌকা। প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসহ প্রায় আটশত (৮০০) থেকে নয়শত (৯০০) লোক পারাপার হতে হয়।
[৪] কড়ইবাড়ীয়া, তালতলী, আমতলী এবং বরগুনা যেতে পার হতে হয় খেয়ানৌকা। এছাড়াও এখানে ভালো রাস্তাঘাট না থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষের বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
[৫] এসব এলাকায় দীর্ঘদিনেও কোন ব্রীজ নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতারা ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,তালতলী শারিকখালী ইউনিয়নের আংগার পাড়া ওচাউলা পাড়া গ্রামের নদী পরাপারের একমাত্র অবলম্বন খেয়া নৌকা।
[৬] স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ৪৮ বছরে বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিরা বার বার ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিলেও সেখানে আজও কোন কাজই শুরু হয়নি। চলাচলকারী শত শত মানুষকে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। আবার অনেকেই সাঁতার না জানার কারণে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে সড়কপথে চলাচল করতে বাধ্য হন।
[৭] এলাকাবাসীরা জানান, খেয়া ঘাট এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্রীজ নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর যাতায়াত যেমন সহজ হবে। তেমনি এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্রীজ না থাকায় বর্ষাকালে ঝুকিঁ নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। অনেক সময় নৌকা ডুবে যায়।
[৮] এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ব্রীজ নির্মাণের সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্পাদনা: আরিফ হোসেন