মাজহারুল ইসলাম : [২] তবে দোকানে বসে কেউ খেতে পারবে না, প্রয়োজন হলে কিনে বাসায় নেয়া যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধসহ বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সুপারশপ, কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকান নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। বাংলাট্রিবিউন, প্রিয়ডটকম, বাংলানিউজ ২৪
[৩] ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান উল্লেখ করেন, সাধারণ মানুষ যেন দু্র্ভোগে না পড়ে সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার কথায়, ‘করোনা প্রতিরোধে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে হোটেল খোলা রাখা যাবে। তবে ভেতরে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের সুযোগ নেই। ক্রেতারা শুধু পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে।’
[৪] হোটেল মালিকরা খাবার তৈরি থেকে শুরু করে বিক্রি করার পুরো প্রক্রিয়া যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে করছেন কিনা, তাও তদারকি করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
[৫] শর্তসাপেক্ষে খাবারের হোটেল খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, ওয়্যারলেসে নির্দেশনা পেয়েছি, খাবারের হোটেল খোলা থাকবে। তবে দোকানের ভেতরে বসিয়ে কাউকে খাওয়ানো যাবে না, শুধু পার্সেল দিতে হবে।
[৬] ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিশ রিলেশন্স বিভাগ) মাসুদুর রহমান পার্সেলের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ক্রেতা সশরীরে হোটেলে এসে খাবার নিয়ে যেতে পারবে। হোটেল থেকে বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়ার সুযোগ থাকছে না ।’
[৭] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্সেল হিসেবে খাবার বিক্রির সুযোগ থাকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত জানেন না অনেক মালিক। এ কারণে তারা হোটেল খুলছেন না। তাছাড়া ১০ দিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা পেয়ে অধিকাংশ কর্মচারী ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
[৮] ডিএমপির পক্ষ থেকে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও গতকাল রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার হোটেল বন্ধ ছিলো। এ প্রসঙ্গে ধানমন্ডি এলাকার ‘বাসমতি কাচ্চি’র স্বত্বাধিকারী বাসুদেব সরকার বলেন, গত বুধবার থেকেই দোকান বন্ধ করে কর্মচারীদের ছুটি দিয়েছি। এমনিতেই করোনা আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে, তাছাড়া ১০দিন সবকিছু বন্ধ। তাই এখন আমাদের বিক্রি আশানুরূপ হবে না।
[৯] খাবারের হোটেল খোলা রেখে শুধু পার্সেল দেয়ার কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় বেশিরভাগ মালিক দোকান বন্ধ রেখেছেন বলে মন্তব্য এ ব্যবসায়ীর। তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে সত্যিই খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সব নিয়ম মেনে আবারও দোকান খুলতে চান তিনি।
[১০] এদিকে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সবাইকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী ৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :