ইত্তেফাক : [২] গফরগাঁওয়ে পাড়াভরট গ্রামের কিশোরী তাকমীন হত্যার ৩দিন পর মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে এ খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাদ্রাসাছাত্র মাহফুজ ওরফে ইছামুদ্দিনকে (১৮) আটক করে পুলিশ। মাহফুজ পাড়াভরট গ্রামের জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।
[৩] পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আঠারদানা জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ও ওই মাদ্রাসা এবং একই বিভাগের ছাত্র মোঃ আশিকুল হকের সঙ্গে পাড়াভরট গ্রামের কিশোরী তাকমীনের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
[৪] সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আশিকুল মোবাইল ফোনে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকমীনকে আঠারদানা জামে মসজিদের কাছে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিলো আশিকুলের বন্ধু মাহফুজ ও আরিফ (১৮)। এ সময় আশিকুল তাকমীনকে ধর্ষণ করে। এরপর মাহফুজ ও আরিফ হাত, পা ও মুখ চেপে ধরে এবং আশিকুল পাগড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকমীনকে হত্যা করে পাশ^বর্তী জামগাছের ডালের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখে।
[৫] এর কিছুক্ষণ পর ফজরের নামাজের সময় হলে আশিকুল আজান দেয়। এরপর মুসল্লিরা মসজিদে এলে সে নামাজের ইমামতিও করে। মাহফুজ এবং আরিফও ফজরের নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা তাকমীনের মরদেহ গাছের ডালের সঙ্গে বাধা অবস্থায় দেখে ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েলের মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করেন। মরদেহের কাছে ১টি মোবাইল পড়ে ছিলো।
[৬] গত মঙ্গলবার বিকালে নিহত তাকমীনের বাবা আব্দুল মতিন বাদী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গফরগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর গতকাল সকালে পুলিশ মাহফুজকে আটক করে।
[৭] আঠারদানা জামে মসজিদের ইমাম মোঃ মোজাম্মেল হক (৪৭) জানান, ওইদিন মসজিদে যেতে দেরী হওয়ায় আশিকুল ইমামতি করে। পাড়াভরট গ্রামের খাহে আলী মন্ডল (৬৪) জানান, গত মঙ্গলবার ফজরের নামাজের আজান দেয় ও ইমামতি করে আশিকুল হক। গত বুধবার দুপুর থেকে সে পলাতক রয়েছে। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :