রাজু চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: [২] বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রাম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গুটিকয়েক দোকানি ও স্বল্প আয়ের হাতেগোনা কিছু লোকজন ছাড়া কেউ বাইরে আসছেন না। রাস্তাঘাট, অলিগলি প্রায় ফাঁকা।
[৩] প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা থাকায় সন্ধ্যার পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে নগরের অধিকাংশ দোকানপাট। শহীদ মিনারমুখী জনস্রোত দেখা যায়নি, অন্য দিনগুলোর চাইতে তাই ব্যতিক্রম ছিল স্বাধীনতা দিবসের এই দিনটি। সড়কে কমে গেছে যানবাহন চলাচলও।
[৪] বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সিভিল প্রশাসনের কাজে সহায়তা করছেন তারা। শুধু খোলা রাখা হচ্ছে কয়েকটি ওষুধ এবং মুদির দোকান। বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ থেকে আজানের আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে জনগণকে সচেতনতার বার্তা দিতে আহŸান জানিয়েছে সিএমপি। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনাসহ প্রশাসনকে সহায়তা করছেন সেনাবাহিনী।
[৫] কোনো জায়গায় অধিক লোক যাতে জড়ো হতে না পারে, ৫,৭ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে সেটা নিশ্চিত করছে সেনাবাহিনী।
[৬] এদিকে ট্রেন ও বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় নগরজুড়ে বিরাজ করছে নীরবতা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবাণুনাশক পানি ছিটিয়েছেন নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে তাছাড়া অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও জীবাণুনাশক পানি স্প্রে করেছেন। সম্পাদনা: আরিফ হোসেন