আনিস তপন : [২] বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে শুধু দুই সিটি করপোরেশন এলাকার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে লাশ দাফন করা হবে। কারণ ঐ গোরস্তানটা নিরিবিলি হওয়ায় সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। এজন্য সেখানে একটি স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা আক্রান্ত রোগীর লাশ ছড়িয়ে দিলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
[৩] বিশেষ পরিস্থিতিতে বিভাগীয় প্রশাসনের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত দলের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই মূহুর্তে ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় সেনা টহল চলছে।
[৪] এছাড়া সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় সারাদেশে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করায় এখন রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। একারণে ফায়ার সার্ভিস, পৌরসভা ও ওয়াসার পানিবাহী গাড়ি দিয়ে রাজধানীর সম্ভাব্য সব রাস্তায় জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। এটি ঢাকা বিভাগের আওতাধীন ১৩ জেলার বস্তি, বাসস্ট্যাণ্ড, রেলস্টেশনসহ যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি এমন স্থানে জীবানু নাশক ঔষধ ছিটানো (স্প্রে) হচ্ছে।
[৫] এখন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় মোবাইল কোর্ট কাউকে শাস্তি দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিভাগের আওতাধীন এলাকায় যেসব ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন যাদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা ছিল, তারা তা মানছে কিনা? তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে এরমধ্যে অনেকেই বিশে থেকে ফিরে আসলেও ঠিকানা/ফোন নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন ব্যক্তিদের খোঁজ করছে না মোবাইল কোর্ট। কারণ সরকারি নির্দেশে এমনিতেই কারো ঘরের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :