মাসুদ হাসান : [২] বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে। তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিকল্পনায় একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছিলেন এবং বস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বঙ্গবন্ধু জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতার পর পর অনেকগুলো হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। আজকে আমাদের দেশে অনেকে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এটা সম্ভব হচ্ছে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে।
[৩] এই চিকিৎসক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এ রকম অনেক প্রতিষ্ঠান তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন যার সুফল সাধারণ মানুষ এখন ভোগ করছেন। [৪ বঙ্গবন্ধু সর্বক্ষেত্রে এ দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের কথা বেশি চিন্তা করতেন। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ যেন চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়। তিনি চিকিৎসাসেবার বাজেটের বিষয়ে ছিলো উদার, কোনোক্রমেই যেন দুঃখী মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই লক্ষ্যেই তিনি দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। [৫] সর্বোপরি স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, আমাদের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। অনেক ডাক্তার, নার্সদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এটাকে ইতিবাচকভাবে ভাবা যায়। [৬] তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবা বা স¦াস্থ্য ব্যবস্থার যে পরিচিতি সেটা যথেষ্ট পর্যায়ে আছে। আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে যা আমাদের দেশের পক্ষে চট করে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা, মানুষের মাথাপিছু আয়, আমাদের প্রশাসনিক মনিটরিং কিছু দুর্বলতা আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে আমাদের ব্যবস্থাপনা একটু উন্নত করতে পারলে আমাদের স¦াস্থ্য ব্যবস্থার প্রসার আরও উন্নত মানের হবে আমি আশা রাখি।
আপনার মতামত লিখুন :