আমিরুল ইসলাম : এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, সারাবিশ্বের জননিরাপত্তা নজিরবিহীন হুমকির মধ্যে পড়েছে। এই বিশ্ব থেকে তো বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন নয়। সারাবিশ্বে বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে, কিন্তু ছোট্ট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি ভাইরাসের কাছে আজ সারাবিশ্ব অসহায় হয়ে গেছে, বিজ্ঞান অসহায় হয়ে গেছে। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে। এটিই এখন জননিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকি। এটা মোকাবেলা করার জন্য এখন সর্বসম্মতিক্রমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যে দিকনিদের্শনা দেওয়া হবে সেটা অনুসরণ করতে হবে। এটাই আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই মুহূর্তে অন্য কোনো চ্যালেঞ্জের কথা চিন্তা করার সুযোগ নেই। এছাড়াও আমাদের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ আছে যেমন : জঙ্গি, সন্ত্রাস, দুর্ঘটনা, জননিরাপত্তা ও নারীর অবাধ চলাফেরার নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়েছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি দুটি জায়গায়Ñ অর্থনৈতিক অগ্রগতি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বলতে হয় যে আমরা অসাধ্য সাধন করেছি। বিশ্বে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে, সারাবিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক জায়গা। সেখানে আমাদের অগ্রগতি আছে, কিন্তু এখনো মৌলিক আদর্শের জায়গায় বিভাজন রয়েছে। একটা শ্রেণি রয়েছে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে।
মৌলিক ইস্যুতে আমরা জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ নই। সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও বেশি এগিয়েছি। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও স্যানিটেশনে অনেক এগিয়েছি। কিন্তু জননিরাপত্তার বিষয়গুলোতে একটু পিছিয়ে রয়েছি। স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অনেক উন্নতি হলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বুঝতে পারছি এখানে বহু রকম দুর্বলতা রয়েছে। চিন্তাচেতনায় অনেক দুর্বলতা রয়েছে। অ্যাডভান্স চিন্তা করার প্রয়োজন ছিলো, দুই মাস সময় পাওয়া সত্তে¡ও আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নেয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে যেমন : পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে। তাদের টেকনোলজিক্যাল ক্ষমতা বেড়েছে। জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে তারা সাফল্য দেখিয়েছে। আমার অনেক প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো এখনো পেরে উঠেনি। সামাজিক অপরাধগুলো তারা দমন করতে পারছে না। সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :