নূরুল হাসান খান [২]কভিড-১৯ মোকাবেলা করতে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে সীমাহীন চাপে পড়বে। দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম) এ সংক্রান্ত সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলো শুধু রুগের বোঝা নয় সীমাহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বোঝাকেও বহন করবে ।
[৩]সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ মির্জা আজিজুল ইসলামএই প্রসঙ্গে আমাদের অর্থনীতিকে বলেছেন, নিঃসন্দেহে করোনার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর।
[৪] ফোরামের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও মেক্রো অর্থনীতিবিদরা এক সাথে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, এটা শুধু উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোই শুরু করতে পেরেছে। অথচ এটা শুরু করা সব থেক বেশি প্রয়োজন উন্নয়শীল দেশগুলোর জন্য।
[৫]রিপোর্টে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈদেশিকমুদ্রার জন্য পণ্য রফতানি,পর্যটন ও রেমিটেসের উপর নির্ভর করে। কভিড-১৯ এর কারণে এর সবগুলোই দারুণ ভাবে আক্রান্ত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই এ সব দেশের সব সরকারই ডলার ও রাজস্ব আয়ের সংকটে পড়বে। এই দুটোর ফলশ্রুতি হচ্ছে, অনিবার্য অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকট থেকে সাময়িক উদ্ধারের জন্য সবগুলো দেশই এক সাথে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থা ও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর দারস্থ হবে। তখন অবশ্য এই সব দেশ ও সংস্থাগুলোরও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবার সামর্থ্য কমে যাবে।
[৬[ রিপোর্টে বলেছে, স্বল্পোন্ন্নত দেশগুলো করোনা মোকারেলা করতে শাট ডাউন সহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এখান থেকে বের হয়ে এসে দেখবে, তাদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য তৈরি হয়েছে।আর এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে পরবর্তি ব্যয়কে কমিয়ে আনা। আর এই ব্যয় কমানোও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকলের জীবন যাপনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
##