বাংলাদেশ প্রতিদিন : [২] করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একজন নার্সকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কুর্মিটলা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। রাজশাহীতে এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৯৩ জন।
[৩] হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ রামেক হাসপাতালের ওই নার্সকে সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছিল। তবে সরঞ্জাম না থাকার কারণে চিকিৎসকেরা তার পরীক্ষা করতে পারেননি। তাকে বাড়িতেই রাখা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
[৪] রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, ঢাকা থেকে বাসে ফেরার সময় ওই নার্স ইতালিফেরত এক আত্মীয়ের সহযাত্রী ছিলেন। রাজশাহী ফিরেই তাঁর জ্বর আসে। এ জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে তিনি নিজেই সন্দেহ করে চিকিৎসকদের জানান। এরপর তাকে আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়। পরে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) যোগাযোগ করার পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই নার্সের বাড়ি নাটোর সদরে। তিনি রাজশাহী নগরীতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন। তার স্বামী জানান, তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে।
[৫] এদিকে তবে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে বিদেশফেরত ১৬২ ব্যক্তিকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১৬২ জনের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১৫ জন, বাঘা উপজেলায় ১০ জন, চারঘাটে ৫ জন, পুঠিয়ায় ৩ জন, দুর্গাপুরে ৫ জন, বাগমারায় ৩ জন, মোহনপুরে ৩ জন, তানোরে ৪ জন, পবায় ৪ জন এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের রাখা হয়েছে।
[৬] তিনি আরও জানান, গত ১ মার্চ থেকে রাজশাহী জেলায় মোট ৫২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৩৫ জনকে। গতকাল বুধবার মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৯৩ জন। তারা আগামী ১৪ দিন বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :