সিরাজুল ইসলাম: [২] করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত শুক্রবার এ পল্লী লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন।
[৩] যৌনকর্মী লিমা (ছদ্মনাম) বলেন, এক সপ্তাহ ধরে রোজগার বন্ধ। তার কোনও সঞ্চয় নেই। এক সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে আছেন তিনি।
[৪] যৌনকর্মী রেখা (ছদ্মনাম) বলেন, এক হাজার টাকা ধার করে বাজার করেছেন। আগামি দিন কিভাবে চলবে, সেই চিন্তায় আছেন।
[৫] যৌনকর্মী শিরিন (ছদ্মনাম) বলেন, তার সঞ্চয় নেই, রোজগারও নেই। একটা বাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন। সরকারি সহায়তার প্রসঙ্গে বলেন, শুনেছি- সরকার চাল ও টাকা দেবে। কবে দেবে তা জানি না।
[৬] স্থানীয় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম রানা বলেন, তিনি বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। রোজগার না থাকায় তারা অনেক কষ্টে আছেন। অনেকে কষ্টে চোখের জল ফেলছেন।
[৭] যৌনকর্মীদের সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, প্রশাসন যৌনকর্মীদের তালিকা করেছে। শিগগিরই ৩০ কেজি করে চাল ও দুই হাজার টাকা দেবে।
[৮] অবহেলিত নারী ঐক্যের সভাপতি ঝুমুর বেগম যৌনকর্মীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, এখনও তারা সরকারি সহায়তা পাননি।
[৯] গোয়ালন্দ থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, আগামীকাল তাদের ৩০ কেজি করে চাল ও দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।
[১০] দৌলতদিয়ায় এক হাজার ৬০০ যৌনকর্মী রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :