রাজু চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: [২] করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ, সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতা নিশ্চিত এবং জনসমাগম রোধে প্রশাসনকে সহায়তা করতে চট্টগ্রামে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতায় নগরীর প্রতিটি এলাকায় টহল শুরু করেন সেনা সদস্যরা।
[৩] এ সময় তারা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে অযথা রাস্তায় অবস্থান না নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। ভিড় এড়িয়ে বাসায় ফিরে যেতে মাইকিংও করেন তারা।
[৪] প্রথম পর্যায়ে অনুরোধ করলেও পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন সেনা সদস্যরা।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা, কোথাও যেন জনসমাগম না হয়, কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন কেউ বাড়াতে না পারে ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৫] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ ৪টি থেকে সর্বনিম্ন ২টি দল মাঠে কাজ করবেন। নগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক দল মাঠে কাজ করবেন। সিটি কর্পোরেশন এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে।
[৬] জানা গেছে, বুধবার নগরে বন্দর, বায়েজিদ, কোতোয়ালী-পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও-বাকলিয়া, খুলশী ও আগ্রাবাদ-ডবলমুরিং এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মাঠে কাজ করছেন। গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রামে প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে অনুষ্ঠিত সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, কোনো জায়গায় অধিক লোক যাতে জড়ো হতে না পারে, ৫-৭ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে, সেটা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী জেলা ও বিভাগীয় এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :