ইয়াসিন আরাফাত : [২] সংস্থাটি বলছে, ইউরোপের পর প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ হাজার ২০৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৮৭ জন মারা গেছেন। গার্ডিয়ান, সিএনএন, বিবিসি
[৩] ডব্লুএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছি, যা অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে।
[৪] এমন সতর্কবার্তা এলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জনজীবন স্বাভাবিক করে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছেন।
[৫] মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, অর্থনীতির চাকা আবার স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনারও পথ খুঁজছেন তিনি। ট্রাম্প বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে চান তিনি। তিনি বলতে চাচ্ছেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি, তা তিন বা চার মাসের বেশি থাকবে না।
[৬] ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র শাট ডাউনের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেস মাস্ক ও ভেন্টিলেটর সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে বলে উঠে এসেছে।
[৭] তিনি বলেছেন, আমাদের জনগণ কাজে ফিরতে চায়। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে এবং বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেয়া হবে। আমরা একসাথে দুটি কাজই করতে পারবো। সমাধানটা সমস্যার চেয়ে বেশি কঠিন হতে পারে না। কংগ্রেসকে এখনই কিছু একটা করতে হবে। আমরা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবো।
[৮] তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, আমার মনে হয় আমাদের কয়েক মাসের জন্য এ পরিস্থিতি থাকবে ধরে নিয়ে পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :