মশিউর অর্ণব: [২] করোনাভাইরাস মানুষের উৎকণ্ঠা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ফেসবুকসহ অন্যান্য অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও গুজব বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি নাজুক করে তুলতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, নিউইয়র্ক টাইমস, লাইভ সাইন্স।
[৩] সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনদের রক্ষা করার সেরা উপায় হচ্ছে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য জেনে নিজেকে প্রস্তুত রাখা।
[৪] করোনাভাইরাসের থেকে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্পর্শ এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে ফেসবুকে।
[৫] তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাইরে থেকে আসা পণ্যের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। সংবাদপত্রের মতো কোনোকিছু গ্রহণ করা নিরাপদ। বাণিজ্যিক পণ্য ধরার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
[৬] ‘দি ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ নিশ্চিত করেছে, কাগজে ছাপা পত্রিকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ এর গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাস বাতাসে বেঁচে থাকে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা, তামার ওপর চার ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডে এক দিন ও স্টেইনলেস স্টিলে বাঁচে দুই থেকে তিনদিন। তবে কাগজের ওপর এ ভাইরাস বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি গবেষকরা।
[৮] বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই জরুরি পরিস্থিতিতে, দৈনিক পত্রিকা তাদের পাঠকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পত্রিকায় খবর ছাপানোর আগে অভিজ্ঞ কর্মীদের মাধ্যমে তথ্য যাচাই ও বাছাইয়ে নিবিড় যত্ন নেয়া হয়।
[৯] এছাড়াও সংবাদপত্রে ছাপানোর বর্তমান প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয়, যা হাতের স্পর্শ ছাড়াই করা হয়। বৈশ্বিক এ দুর্যোগকালে আশঙ্কামুক্তভাবে সংবাদপত্র পাঠে বাধা নেই।
[১০] করোনাভাইরাস নিয়ে সুরক্ষা, সতর্কতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক বন্ধুর মতো পত্রিকাই আছে আপনাদের পাশে।
আপনার মতামত লিখুন :