মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি: [২] কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ,জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন তাদের ১৫ সহ¯্রাধিক জনবলের অধিকাংশের ব্যক্তিগত প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষিত পোশাক নেই। এনিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এদিকে চলতি মাসে কুমিল্লায় ১৫হাজারের বেশি প্রবাসী এসেছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মাত্র এক হাজার ৫৮৩জন। এনিয়ে কুমিল্লা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
[৩] সূত্র মতে, কুমিল্লা জেলার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল রয়েছে তিন হাজারের বেশি। বেসরকারি সাড়ে তিন শতাধিক হাসপাতালের রয়েছে আট হাজারের উপর কর্মকর্তা-কর্মচারী। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ১১৩২জন। কুমিল্লা জেলা পুলিশের রয়েছে ২৪০৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
নাম প্রকাশ না করে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন,যত বড় দুর্যোগ আসুক। আমাদের মাঠে থাকতে হবে। আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে কিভাবে কাজ করবো।
[৪] চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম বলেন, কুমিল্লায় ১৫শতজন চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল স্টাফদের পিপিই জরুরি। সরকারি হাসপাতালে কিছু পিপিই এসেছে। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নিরাপত্তা নিতে বলা হয়েছে। আমাদের সংগঠন থেকেও কিছু পিপিই তৈরি করছি।
[৫] সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, মাঠে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের থাকতে হচ্ছে। সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সবার নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
[৬] বেসরকারি চিকিৎসক সমিতি কুমিল্লার সভাপতি ও বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতি কুমিল্লার কোষাধ্যক্ষ ডা.একেএম আবদুস সেলিম বলেন,চিকিৎসক ও স্টাফরা নিরাপদ না হলে কিভাবে সেবা দিবে। বেসরকারি ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পিপিই তৈরির জন্য বলা হয়েছে।
[৭] সিভিল সার্জন ডা.নিয়াতুজ্জামান বলেন,আমরা কিছু পিপিই পেয়েছি। তা মাঠে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সুরক্ষার বিষয়ে বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে।
[৮] কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন,পিপিই তৈরি করার জন্য নির্দেশনা এসেছে। তবে বরাদ্দ নেই। আমাদের কিছু রেইন কোর্ট আছে সেগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত করছি।
[৯] কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে কুইক রেসপন্স টিম করা হয়েছে। এদিকে সবাইকে ব্যক্তি উদ্যোগে পিপিই তৈরির জন্য বলা হয়েছে। তারা কাপড় কিনে বানিয়ে ফেলবে।
[১০] কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন,আমাদের চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। যে পরিমাণ পিপিই এসেছে তা পর্যাপ্ত নয়। তবে আমার আইসিইউ চালু করা জরুরি। আইসোলেশন বেড থাকলেও আইসিইউ ছাড়া কাউকে চিকিৎসা দেয়া কঠিন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :