লাইজুল ইসলাম : [২] গতকাল অন্তত পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। রোগীর সংকট তেমন নেই। তবে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে চিকিৎসক-নার্সসহ মেডিকেলে কর্মরত সবার মধ্যে।
[৩] জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসা, ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম। কত রোগী ভর্তি, জানাচ্ছে না প্রাইভেট হাসপাতালগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, জ্বর-কাশি নিয়ে এলেই কোনো ডাক্তার ধরতে চাচ্ছেন না। পিপিই থাকা সত্ত্বেও এমন হচ্ছে। তবে ভর্তির পর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু রোগীর সাম্প্রতিক সময়ের চলাফেরা ও জ্বর দেখে কোভিড-১৯ সন্দেহ হলে কোনোভাবেই ভর্তি করা হচ্ছে না।
[৪] রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। রোগী আছেন মাত্র ছয়জন। কয়েকদিন আগে এক রোগী করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। আতঙ্কে অন্য সব রোগী চলে গেছে। ডাক্তারদের চেম্বারও বন্ধ। কয়েকজন রোগী আছেন হাসপাতালটিতে। এরা চলে গেলেই বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
[৫] হলিফ্যামিলিতে রোগী এলে ভর্তি করা হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সন্দেহ হলে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক ডা. মো. মোর্শেদ। তিনি বলেন, সন্দেহ হওয়ায় আমরা গত এক সপ্তাহে ১৭ জনকে সরকারনির্ধারিত হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ঠান্ডা,কাশি ও জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের আলাদা রাখা হয়েছে। পিপিই যথেষ্ট আছে ডাক্তারদের জন্য। তারপরও কিছুটা ভীতি আছে তাদের মধ্যে। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ
আপনার মতামত লিখুন :