শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৪ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘স্যারেরাও এখন আমাদের নামাজ পড়তে বলেন’

ডেস্ক রিপোর্ট : (১) সাভারের একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে চাকরি করেন লালমনিরহাটের জুলেখা বানু। থাকেন পোশাক কারখানার পাশের একটি টিনশেড ভাড়া বাড়িতে। বিশ্বব্যাপী করোনার আঘাতে বাংলাদেশেও এখন অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন সবাই। জুলেখা বানুর কর্মস্থলেও চলছে বেশ সতর্কতা। কারখানা প্রবেশের পর পরই সবাই সাবান পানিতে হাত ধুয়ে কাজে যোগ দেয় সবাই। দুপুরের বিরতির আগে পরেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভাল করে পরিস্কার করতে হয় সবাইকে।

(২) এই সাধারণ নিয়মের বাইরেও জুলেখা বানু জানালো তার নতুন এক অভিজ্ঞাতার কথা। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর সবার মধ্যে শুধু সতর্কতাই নয় একটি অজানা আতঙ্কও যেন কাজ করছে। জুলেখা যে ইউনিটে (প্রডাকশন) কাজ করে সেখানে সে অপারেটর হিসেবে কাজ করছে। যোহর এবং আছরের আজানের পর তার বস্ (লাইন চীফ) এই ইউনিটের প্রত্যেকেই নামাজ পড়তে উৎসাহ দেন। বিরতির সময়ে সাধারণ সময়ের সাথে আরো ১০ মিনিট বাড়িয়ে দিয়ে নামাজের জন্য অতিরিক্ত সময় দেন। বস্ নিজেও নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

(৩) জুলেখা জানায়, শুধু প্রডাকশন সেকশন নয়, অন্যান্য বিভাগেও এখন আগের মতো কাজের কোনো চাপাপাপি নেই। কর্মীদের মধ্যেও নেই কোনো উল্লাস, হাসি-ঠাট্টা। সবাই অফিসে আসে যায়, মুখে হাই হ্যালো ছাড়া আগের মতো অন্তরঙ্গ আলাপেও কেউ আর মশগুল হয় না। কাজ শেষে যে যার বাসায় চলে যায়। বাইরের আড্ডায় সময় ব্যয় করে না কেউই।

(৪) শ্রমঘন এলাকা সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর এবং না:গঞ্জের বেশিরভাগ পোশাক কারখানার চিত্রই এখন একই। সকালে যে যার কাজে যাছে, আবার ছুটির পর সোজা বাসায়। বাইরের কোনো স্থানে জনসমাগম নেই বললেই চলে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে কেউই বের হচ্ছে না। সাভার আশুলিয়ায় কমে গেছে ভবঘুরে বা ভিক্ষুকের সংখ্যাও।

(৫) এছাড়া হরেক মালের হাক ডাক দিয়ে ফেরিওয়ালাদের আনাগোনাও আগের মতো চোখে পড়ে না। অফিস টাইম সকাল এবং বিকাল ছাড়া রাস্তাঘাটে যানবাহনও একেবারেই কমে গেছে। স্কুল কলেজ ছুটি থাকলেও মাঠ কিংবা বিভিন্ন লোকাল পার্কেও নেই কোনো দর্শনার্থী। সবগুলো এখন বন্ধ। সাভার এবং আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত কর্মীরা জানান, এসব কারখানায় নিয়মিত সকালে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কাজের সূচনা করা হচ্ছে। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উৎপাদন শাখার প্রত্যেক কর্মীকেই প্রতিদিন সকালে গোসল করে অফিসে আসতে বলা হচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

(৬)সাভারের ডেভোনিয়ার গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার প্রডাকশন ম্যানেজার (পিএম) আবুল কাশেম জানান, আমরা চেষ্টা করছি যতদিন সতর্কতার সাথে কারখানা চালু রাখা যায়। আর এজন্য কর্মীদের আমরা নিরাপত্তার সবগুলো স্টেজ পালন করছি। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করেছি।

সূত্র- নয়াদিগন্ত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়