মশিউর অর্ণব: [২] লকডাউনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো- মানুষ যাতে দুর্গত অঞ্চলের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা। ন্যাশনাল জিওগ্র্যাফি, উইকিপিডিয়া, অরিজিন অফ লকডাউন।
[৩] অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি অনুযায়ী- জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে কোনো নিদিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের আগমন ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করাকে ‘লকডাউন’ বলে।
[৪] ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে লকডাউনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- জরুরি পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট জায়গার মানুষকে সেখান থেকে বের হতে না দেয়া, অথবা বাইরে থেকে ওই জায়গায় প্রবেশে বাধা দেয়াই হলো ‘লকডাউন’।
[৫] লকডাউন সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে- ক) প্রিভেন্টিভ লকডাউন খ) ইমার্জেন্সি লকডাউন
[৬] প্রিভেন্টিভ লকডাউন- এটি একটি স্থানীয় পর্যায়ের জরুরী অবস্থা, যেটি মানুষকে একটি সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
[৭] স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে দেয়া এই লকডাউনের ঘোষণাটি, সম্ভাব্য বড় দুর্যোগের হাত থেকে ওই অঞ্চল এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে নিরাপদে রাখার জন্য জারি করা হয়।
[৮] ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে, সেখানে প্রথমবারের মতো প্রিভেন্টিভ লকডাউন জারি করা হয়েছিল।
[৯] ইমার্জেন্সি লকডাউন- চূড়ান্ত এই জরুরি অবস্থাটি ‘ফুল লকডাউন’ নামেও পরিচিত। আগের মতো স্থানীয় পর্যায়ে জারি না হয়ে, কোনো শহর অথবা জাতীয় পর্যায়ে গোটা দেশের ক্ষেত্রে জারি করা হয় এই ইমার্জেন্সি বা ফুল লকডাউন।
[১০] জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যতীত ইমার্জেন্সি লকডাউন পরিস্থিতিতে, একটি শহর অথবা গোটা একটি দেশের সকল জনগণকে নিজ বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়।
[১১] ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পর, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩ দিনব্যাপী ইমার্জেন্সি লকডাউনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আপনার মতামত লিখুন :