সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে আরও বলেন, সবাইকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। করোনাভাইরাস নিয়ে সারাবিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই সব রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’-এর কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। ৭১’র ২৫ মার্চ রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নৃশংসতম গণহত্যা চালায়। এতে বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে ভয়াল কালরাত্রি। ২৫ মার্চ পাক-হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ শুরু হওয়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের নিপীড়নের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় বাংলাদেশ।
[৪] তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
[৫] সোমবার ‘২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
আপনার মতামত লিখুন :