সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় নেতারা বলেন, করোনো ভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই ৩টি মূল্যবান মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম সমন্বয়হীনতা কাজ করছে। রোগ তত্ব বিভাগ তাদের সঙ্গে পরীক্ষার জন্য যোগাযোগ করতে হটলাইনে কথা বলতে বললেও তাদের সংযোগ পাওয়া যায় না অথবা রোগীর বিদেশ ফেরত না বলে তাদের পরীক্ষাও করা হয় না। তাই বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। সেগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এনেই এই পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা যেতে পারতো।
[৩] তারা আরও বলেন, কেবল মাত্র কীট সংগ্রহেই তিন মাস চলে গেল। আর স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই) এখনও পর্যন্ত সেভাবে সরবরাহ করা হয়নি। ফলে যাদের সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টের সামান্যতম উপসর্গ রয়েছে তাদের হাসপাতালগুলো এবং প্রাইভেট চেম্বারও ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বাস্তবতা সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে সঠিকভাবে জানানো হচ্ছে না। জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটাও একবারও বসেনি। তাই আর সময় নেই এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
[৪] নেতারা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সতর্কতার কারণে নিম্ন শ্রমজীবীরা গৃহকর্মীরা বস্তিবাসীরা গণপরিবহন কর্মীরা দিন আনে দিন খায়, তারা চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। শ্রমঘন শিল্প গার্মেন্টস শ্রমিকদেরও একই অবস্থা। এই অবস্থায় শ্রমজীবী ও বস্তিবাসী মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ২ সপ্তাহের খাদ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের সহায়তা দিয়ে নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারিদের দুর্যোগ ভাতা ও সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। দেশের সব মহানগরের মেয়র ও কাউন্সিলর ও এমপিদের তত্ত্বাবধানে এই ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তারা।
[৫] সোমবার সভায় আরও স্কাইপে সংযুক্ত হন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, ড. সুশান্ত দাস, নুর আহমদ বকুল প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :