মাসুদ রানা: বাংলাদেশে মহামারী শুরু হয়ে লাশ পড়তে থাকলে, আমার আশঙ্কা সেই লাশগুলোর ধোয়ার ও জানাজা পড়ার জন্য হুজুরদের পাওয়া যাবে না। ‘সংক্রমণ বলে কিছু নেই’ হাদিস আওড়ে তারা যতোই মসজিদ খোলা রাখার জিহাদি জোশ দেখাক না কেন, মানুষ মরতে শুরু করলে ওদের মসজিদে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুতরাং যারা মানবপ্রেমী, কিন্তু বেহেশতে গিয়ে সুখাদ্য, শরাব ও যৌনসুখের আশায় নেকি কামানোর জন্য মানুষের সেবা করে না, তাদের উচিত হবে শুধু মানুষের কল্যাণে ও মানুষের জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক সংক্রমণ-নিরোধ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে শহরে শহরে, গ্রামে গ্রামে ‘মানবিক বাহিনী’ তৈরি করে প্রস্তুত হওয়া। ‘মানবিক বাহিনী’কে শীঘ্রই মানুষের সাহায্য, মানুষের কল্যাণে কাজে নামতে হবে। হাতে সময় খুব বেশি নেই।
বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ যে ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেদের ব্যানারে নানা প্রকারের স্বেচ্ছাসেবী কর্মতৎপরতা শুরু করেছে, তাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে সবাইকে নিয়ে নির্দলীয় ব্যানারে একটি একক ও বৃহত্তম ‘মানবিক বাহিনী’ গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন, নিজেরা এর শীর্ষ পদ-পদবিতে না থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের জায়গা করে দিন। এটি করতে পারলে আপনারা প্রগতিশীল রাজনৈতিক তাৎপর্যসহ একটি নতুন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবেন। আপনারা এমন একটি নির্দলীয় সংগঠন ও আন্দোলন শুরু করতে পারলে, সারাবিশ্বের অনেক প্রবাসী বাঙালির এবং সর্বোপরি দেশের সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন পাবেন। ২২/০৩/২০২০, লন্ডন, ইংল্যান্ড
আপনার মতামত লিখুন :