আসিফ কাজল: [২] করোনাভাইরাসের কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।পিছিয়ে গেছে এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষা। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বাসা থেকে বাইরে ঘোরাফেরা নিষেধ করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এমন পরিস্থিতিতে চার কোটি শিক্ষার্থী বাড়িতে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে প্রাথমিকে পৌনে দুই কোটি আর মাধ্যমিকে এক কোটির ওপর শিক্ষার্থী রয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
[৩] জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ঘরে বসে থাকলে শুধু শিশুরাই নয় বড়দেরও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া সব শিশুর মানসিক অবস্থাও এক রকম নয়। অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।
[৪] তিনি বলেন, বাচ্চারা তথাকথিত আনন্দ বাইরে থেকেই গ্রহণ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে তারা সহপাঠীদের সঙ্গে সময় কাটায়, খেলাধুলা করে। এক্ষেত্রে শিশুরা অবাধে চলাফেরা করতে পারছেনা। চারিদিকে একটা থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মাইল্ড ডিপ্রেশন বা অল্পতে বিষন্নতায় ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে হলে তাদেরকে ঘরের ভিতরে খেলার সুযোগ দিতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরকে সময় দিতে হবে। এছাড়াও পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
[৬] বারডেম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, এ সময় পত্রপত্রিকায়, টেলিভিশনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত নানা সংবাদ শিশুরা ভয় পেতে পারে। তাদের আশ্বস্ত করুন। এমন সময় বই পড়তে ও গান শুনতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।