বিপ্লব বিশ্বাস : [২] দেশের থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের সাহায্য নিতে আগত ব্যক্তিদের অবশ্যই মাস্ক পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থানা এলাকায় প্রবেশ করতে হবে।
[৩] পুলিশ সদসদপ্তর হেডকোয়ার্টার্সসহ প্রতিটি ইউনিট ও থানায় করোনা প্রতিরোধে এ ধরনের বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিউটির সময় মাস্ক, গ্লবস, টুপি ও মোজা ব্যবহার করছে পুলিশ। একইসঙ্গে আগতদের প্রবেশ করানো হচ্ছে হাত ধোয়ার পর।
[৪] পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, ‘বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি পুলিশের ভেতরও সতর্কমূলক নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটকে বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিটগুলোয় বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আড়াই লাখ পুলিশের মধ্যে রোববার পর্যন্ত এই ভাইরাস কারও শরীরে দেখা দেয়নি।
[৫] পুলিশ জানায়, কর্মস্থলে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার করা, নিয়মিত সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সমাগম না করার জন্যও বলা হয়েছে। একই জায়গায় গাদাগাদি করে যেন থাকতে না হয়, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
[৬] এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জায়গায় জনসমাগম না করার জন্য প্রচারণা চালানোর কৌশল হিসেবে মাইকিং, স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে পুলিশ। করোনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও সচেতন করছে তারা। থানার গেটের সামনে করোনার পরিচয় ও এই ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের উপায় সংবলিত ব্যানার টানানো হয়েছে। থানায় আগত লোকজনের হাত ধোঁয়ার জন্য পানি, সাবান ও স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :