শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দিনাজপুরের এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের

ডেস্ক নিউজ : [২] দিনাজপুরের এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ ৩ জন চিকিৎসক ছুটিতে। আর তাতেই ছুটির আমেজ বিরাজ করছে পুরো হাসপাতালজুড়ে। হাসপাতালে যেখানে ৭১ জন চিকিৎসকের থাকার কথা সেখানে পুরো হাসপাতাল ঘুরে দেখা মিলেছে দু’জনের। রোগীদেরকে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়ার অভিযোগও উঠেছে হাসপাতালটিতে।

[৩] শনিবার হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের চেম্বারগুলোতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। আর এনিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতে হয় সাংবাদিকদের।

[৪] বেলা ১১টার সময় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পরিচালকের কক্ষে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. নজমুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য নেন সাংবাদিকরা। এ সময় কোন কোন চিকিৎসক ছুটিতে আছেন জানতে চাইলে তা দিতে চাননি তিনি। পরে তার অনুমতিক্রমে ওয়ার্ডে যান ৬-৭ জন সাংবাদিক।

[৫] ওয়ার্ডে গিয়ে কর্তব্যরত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে সবাই জানান ‘স্যাররা এসেছিলেন, সকাল বেলা রাউন্ড দিয়ে চলে গেছেন।’ তবে কয়েকজন ইন্টার্নি চিকিৎসককে রোগীদের সেবা দিতে দেখা যায়। চতুর্থ তলায় মেডিসিন বিভাগ ও দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও মহিলা সার্জারি ওয়ার্ড, নাক-কান-গলা ওয়ার্ডে গিয়ে শুধুমাত্র ২ জন চিকিৎসককে পাওয়া যায়। অন্যসব রুম তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

[৬] বিভাগের সামনে চিকিৎসকদের টাঙানো লিস্ট অনুযায়ী চিকিৎসক থাকার কথা সার্জারি বিভাগের ৩ ইউনিটে ১৬ জন, অর্থো সার্জারি ওয়ার্ডে ১৭ জন, নাক-কান-গলা বিভাগে ২ জন, চক্ষু বিভাগে ৪ জন এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে তিন ইউনিটে ১৭ জন। ছুটিতে থাকা দুই চিকিৎসক বাদে অন্য সব চিকিৎসকের হাসপাতালে থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যায় মাত্র ২ জনকে। অথচ ওই দিন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বে রয়েছেন মোট ৭১ জন চিকিৎসক।

[৭] এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলার খোদমাধবপুর মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা লিটন হোসেন আকাশ জানান, তার বাবা অসুস্থ হয়ে গত ১৭ মার্চ মেডিসিন ওয়ার্ডের সাদা ইউনিটের ১৬ নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। সুস্থ না হওয়ার পরও জোর করে শনিবার ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। বাসায় গিয়ে স্যালাইন দিতে বলা হয়। যদিও বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

[৮] হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় একজন সাংবাদিককে ছবি তুলতে নিষেধ করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অন্যান্য সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তারপরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত ওই সাংবাদিকসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এক প্রকার আটক করে সহকারী পরিচালক প্রশাসনের কক্ষে যান।

[৯] সেখানে গিয়ে দেখা যায় একদল চিকিৎসক বসে আছেন। সংবাদকর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করলে সৌজন্যমূলকভাবে তাদের বসতেও বলা হয়নি। এ সময় পুলিশ দিয়ে ডেকে পাঠানো এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। জড়ো হতে শুরু করে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পরে সংবাদকর্মীরা ঘটনা বিস্তরিত বলার পর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জানান, তিনি সংবাদকর্মীদেরকে ইউনিটে যাওয়ার অনুমতি দেননি। এ সময় অন্য একজন চিকিৎসক উপস্থিত সংবাদকর্মীদের প্রতি অশালীন ও অশোভন আচরণ করায় সাংবাদিকরা হাসপাতাল থেকে চলে আ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়