মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনার কারণে রাজধানীর সাধারণ মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহির হচ্ছেন, না এমনটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্য বাসায় মজুদ করার প্রবনতাও দেখা গেছে।
[৩] বৃহস্পতিবারও পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিলো। একদিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও রাজধানীর শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়নি।
[৪] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্যপণ্য মজুদ রয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান টিসিবি রাজধানীসহ সারা দেশে ৩৫০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করছে।
[৫] রাজধানীর মগবাজার কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা মাসুদ মিয়া জানান, দুই দিন আগেও ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলাম। এতো বাড়বে জানলে কয়েক কেজি ক্রয় করে রাখতাম।
[৬] টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, রাজধানীতে ন্যায্যমূল্যে চার ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ৫০টি ট্রাক রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব ট্রাক তাদের পণ্য বিক্রি করছে।
[৭] তিনি জানান, এসব ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা, মসুর ডাল ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটার এবং পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে কিনতে পারবেন।
[৮] মগবাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সোলাইমান জানান, করোনার কারণে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
[৯] যদিও শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ জানাতে পারেনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোবাইল টিমকে। এজন্য মোবাইল টিমটি বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জারিমানাও করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :