মাজহারুল ইসলাম : [২] এ মহিমান্বিত রাতে আল্লাহ তায়ালার অশেষ অনুগ্রহে তাঁর প্রিয়নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরশে আজিমে পৌঁছান এবং আল্লাহ তায়ালা’র সান্নিধ্য লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এবপর পৃথিবীতে ফিরে আসেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে।
[৩] করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালিত হবে। প্রতি বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মিরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোনও কর্মসূচি পালিত না হলেও, নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হবে। মসজিদ খোলা থাকবে, মুসল্লিরা চাইলে ইবাদত করতে পারবেন।
[৪] ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিজরি সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে লাইলাতুল মেরাজ পালন করেন। ইসলামে এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। মেরাজের রাত ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি পার করেন। অনেকে নফল রোজা রাখেন। দান-সদকা করেন।
[৫] মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফরকে ‘ইসরা’ এবং মসজিদুল আকসা থেকে সাত আসমান পেরিয়ে আরশে আজিম সফরকে ‘মেরাজ’ বলা হয়। ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহ’র সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন।
[৬] পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইল ও সুরা নজমের আয়াত, তাফসির এবং সব হাদিসগ্রন্থে মেরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র এ রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে নবীজি (সা.) প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে গমন করেন।
[৭] সেখানে হজরত আদম (আ.) সহ অন্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা.) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এ রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে তিনি মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছান। এরপর আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন।
আপনার মতামত লিখুন :