ডা. এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন: চীনের হুয়ানে কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে। পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই রোগটি ছড়াতে থাকে। ফেব্রুয়ারিজুড়ে বিশেষজ্ঞরা পৃথিবীব্যাপী এই রোগের মহামারী নিয়ে নানা আশঙ্কা ব্যক্ত করতে থাকেন। এগারোই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কোভিড-১৯ রোগটিকে প্যানডেমিক ঘোষণা করে। পৃথিবীর অনেক দেশ জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিজুড়ে নিজেদের দেশের সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ঝুঁকি বিবেচনায় সাধ্যমতো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নিজেদের দেশের জন্য ‘বসবৎমবহপু ৎবংঢ়ড়হংব ঢ়ষধহ’ ঠিক করেছেন।
আমরা এ সময়ে emergency response plan -এ ছিলাম। আমাদের ‘গুরুত্বপূর্ণদের’ ধারণা ছিল, করোনা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আমরা আত্মতুষ্টিতে মগ্ন ছিলাম। তেমন কোনো আউটপুট ছাড়াই আমরা কেউ কেউ মিটিংয়ের পর মিটিং করেছিলাম। বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রথম কোভিড কেস শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। গত ১০ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডাক্তারসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই কেনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হয়। সেই চিঠির ব্যাপারে আজ ঢাকায় মিটিং হবে। এই একটি ঘটনাই বলে দেয়, আমাদের প্রস্তুতি কেমন ছিল, উদাসীনতা কোন পর্যায়ের ছিল! পর্যাপ্ত সময় পেয়েও আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে ও করাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের এই সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে দিয়ে টেলিভিশন বা ফেসবুকে মিথ্যাচার করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। সত্যকে অস্বীকার করলে কিংবা প্রকৃত তথ্য আড়াল করলেই সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ঝড় থেমে থাকবে না। আমাদের উদাসীনতায় লোকালয়ে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ঝড় থামাতে হলে যা যা করার দরকার, তা-ই করতে হবে। আমাদের জন্য এখন প্রযোজ্য হলো, বেটার লেট দ্যান নেভার। গুড লাক বাংলাদেশ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :