শেরপুর-১ ,তপু সরকার হারুন : শেরপুরে গত ৪/৫দিনে শেরপুরে চাল, ডাল ও নিত্যপন্যের দাম দ্রত বেড়ে যাচ্ছিল বলে জানা যায় ।
এবং জেলায় সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে থাকা সত্বেও বাজারে করোনা ভাইরাস আতঙ্কিত হয়ে বিনা প্রয়োজনে বেশি পরিমান নিত্যপন্যে ক্রয় করতে থাকে । এরই ধারা বাহিকতায় বাজারে নিত্যপন্যের দাম বাড়াতে একধরনের পুজিঁবাদী ব্যাবসায়ীরা পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ায় ।
আজকের ষ্টেডিয়াম পৌর কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেয়াজ দেশিটা ৬০ টাকা কেজি গতকাল বৃহ্প্রতিবার যেটা ছিল ৩৪টাকা । রসুন কেজিতে ৩০টাকা বেড়েছে, গাজর কেজিতে ১৫টাকা বেড়েছে আদা সহ বিভিন্ন পন্য দাম হিড়িক দিয়ে বাড়ছে এবং মানুষ কে প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে কিনতে দেখা যায় । তবে সেখানে পাইকারী ব্যাবসায়ী আব্দুস সামাদ জানান, কুষ্টিয়া মোকামে পিয়াজের দাম বস্তাতে ৪শত টাকা বেড়েছে ।
কিন্তু খুচরা ব্যাবসায়ী কিন্ন মিয়া জানান ১ দিনের ব্যাবধানে এতো টাকা বাড়ার কথা নয় ,এটা এখানে পাইকারী ব্যাবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে দাম বাড়িয়েছে ।
এদিকে বেলা ১২টার দিকে শেরপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আনার কলি মাহবুব এর নির্দেশনায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আশরাফুল ইসলাম রাসেল, মিজানুর রহমান ও আকলিমা আক্তার এর নেতৃত্বে শহরের নয়ানী বাজার ষ্টেডিয়াম পৌর কাচা বাজারে সহ বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে দ্রব্য বিক্রয়ের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একাধিক ব্যবসায়ীকে মোট ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সেখানে তারা বলেন
জেলায় সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে। আতংকিত না হয়ে সকলকে বিনা প্রয়োজনে বেশি পরিমান ক্রয় করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আতংকিত না হয়ে সচেতন থাকুন।
কোন ব্যবসায়ী যদি অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :