আবদুন নূর তুষার: মুরগির খামার যাতে বার্ড ফ্লু থেকে রক্ষা পায় ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রেহাই পায় সেজন্য সেখানে জীবাণুমুক্ত রাখার একটি প্রক্রিয়া আছে। সবাইকে জুতা স্যাভলন/ডেটল/সেপনিল মেশানো পানিতে বা জীবাণুনাশকমুক্ত পানিতে ডুবিয়ে নিতে হয়। তারপর একই রকম জীবাণুনাশকওয়ালা চটে সেটা মুছে নিতে হয়। হাত ধুতে হয় সাবান দিয়ে। মুরগিকে প্রয়োজন ছাড়া হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় না। শরীরে ধুলাময়লা নিয়ে প্রবেশ না করাকে উৎসাহিত করা হয়। বার্ড হ্যান্ডলাররা গোসল করে পরিষ্কার কাপড় পরেন। কাজ শেষ না করে শেড থেকে বের হন না। এ রকম আরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রত্যেকের বাসাকে মুরগির খামারের মতো চিন্তা করেন এবং সেভাবে কম খরচে, সহজ পদ্ধতিতে জীবাণু বাড়ির বাইরে রেখে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অপ্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বাসায় না আসা ভালো। বাইরে থেকে আসা গৃহকর্মীদের সবার আগে হাত পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবিধি শেখান। প্রত্যেক বাসায় যে বেশি বাসার বাইরে যায়, সেই সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে ও আপনাদের ঝুঁকিতে ফেলে। তাই যত পারা যায় অকারণে অথবা বারবার বাইরে না যাওয়া ভালো। মনে রাখতে হবে জীবাণুকে যত বেশি সময় ঠেকিয়ে রাখা যাবে ততই আমরা এই লড়াইতে সফল হবো। চাই একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা। সেটা যদি বড়কর্তারা করে থাকেন তো ভালো। আমি ও আমার কিছু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক বন্ধুরা মিলে চেষ্টা করছি একটা প্রস্তাবনা তৈরি করতে। সঠিক তথ্য পেতে এফডিএসআরের করোনা বার্তা পেজে যেতে পারেন অথবা আমার পেজে যেতে পারেন। লাইক দিয়ে সাবস্ক্রাইব করলে আরও সহজে নোটিফিকেশন পাবেন। ভালো থাকুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :