সাইফুর রহমান: [২] তার অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিল বিজেপি। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক একসঙ্গে পদত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা একরকম অসম্ভব ছিলো কমল নাথ সরকারের পক্ষে। সেই হারের আশঙ্কা থেকে আগেভাগেই সরে দাঁড়ালেন বলে মনে করছে দেশটির রাজনৈতিক মহল। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে
[৩] বৃহস্পতিবার দেয়া এক আদেশে শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যেই আস্থা ভোটের মাধ্যমে কমল নাথ সরকারকে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বিজেপির দায়ের করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মধ্যপ্রদেশের চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে আস্থাভোটই একমাত্র উপায়।
[৪] সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরেই মূলত প্রদেশটিতে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়। এরপর তার ঘনিষ্ঠ আরও ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগের জেরে মধ্যপ্রদেশে কঠিন সঙ্কটে পড়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার।
[৫] উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই ১০৭ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির পক্ষে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ৩ জন বেশি। তাই মনে করা হচ্ছে এবার প্রদেশটিতে আবারও সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। তেমন হলে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির বর্ষীয়াণ নেতা শিবরাজ সিং চৌহানই বসতে চলেছেন উত্তর প্রদেশের মসনদে।