ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : [২] প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবরে আতঙ্কে রয়েছে লোকজন। যে কোনো মুহূর্তে শাটডাউনের শঙ্কায় অনেকেই চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করতে শুরু করেছেন। এর প্রভাব পড়েছে ঈশ্বরদী বাজারে। বাড়তি দামে চাল-পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন বিক্রেতারা।
[৩] খবর পেয়ে শুক্রবার (২০ মার্চ) অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল পাইকারী নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে অভিযান চালান। অভিযানে পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানোয় ঈশ্বরদী বাজারের ভাই ভাই রাইস সপ এজেন্সিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আড়ত ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার ৫০০ টাকা হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে শহরের রেলগেট এলাকায় নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রির অপরাধে আলিফ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টকে ১০ হাজার, সীমা হোটেল এন্ড রেস্টোরা ২০ হাজার টাকা ও পাবনা সুইটস ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৪] শুক্রবার বাজার দর অনুযায়ী, চাল ৫৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৪ টাকার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে যা গত বুধবারও ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা দুইদিন আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়, যা বুধবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা। আর ১৮-২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকায়।
[৫] সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল জানান, করোনাভাইরাসের আতঙ্ককে পুঁজি করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে পারে। মজুত থাকার পরও নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়াতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন আজ থেকে মাঠে থাকবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :