তিমির চক্রবর্ত্তী: [২] বিশেষ উপলক্ষে গুগলের লোগোতে আসা বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের কারনে শুক্রবার যোগ হলো হাত ধোয়ার বিষয়টি। গুগল সার্চে গেলেই লোগোর পরিবর্তে আসছে একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও, যাতে হাত ধোয়ার পদ্ধতিগুলো দেখানো হচ্ছে। টিচশহর ডটকম
[৩] ডুডলে দেখা যায়, ইনফেকশন রোধের জনক ইগনাজ একটি ঘড়ি বের করেন। অন্যদিকে চলে হাত ধোয়া। যেখানে এক এক করে মোট ছয়টি পদ্ধতিতে হাত ধোবার অ্যানিমেশন দেখানো হয়। যার ঘড়ির সময়ের হিসাবে মোট এক মিনিট ধরে চলে।
[৪] ডুডলে ঘড়ি ধরে আছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও অ্যান্টিসেপটিক তৈরির জনক ইগনাজ সেমেলওয়েস। অস্ট্রিয়ান এই বিজ্ঞানীই প্রথম হ্যাণ্ড স্যানিটাইজেশন বা হাতকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার শুরু করেন। তার সেই উদ্ভাবনকে ধরেই ১৮৪৭ সাল থেকে হাত জীবাণুমুক্ত করার স্ট্যাণ্ডার্ড প্রবর্তন করা হয়।
[৫] ১৯ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত জীবাণুমুক্ত করতে বার বার হাত ধোয়ার যে প্রয়োজন হয় সেটিই কেউ মানতো না। এমনকি মেডিকেলেও সেটি মানা হতো না।
[৬] ইগনাজ প্রথম দেখলেন যে, সন্তান জন্ম দেবার পর মা কোনো অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছেন। ইগনাজ খেয়াল করলেন, যেসব ডাক্তার সেসব প্রসূতিকে দেখছেন তারা খুব ক্রিটিক্যাল রোগিদেরও একটু আগে দেখে এসেছেন। হাতে থাকা অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া নিয়েই আবার সেই মাকে দেখছেন। ফলে তিনিও সংক্রমিত হচ্ছেন। এমন বিষয় খেয়াল করার পর ইগনাজ ১৮৪৭ সালে ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালে স্টাফদের হাত ধোবার ব্যবস্থা করেন। এর পর থেকে মৃত্যুহার কমতে থাকে।
[৭] যদিও এই ব্যবস্থা অন্যান্য ক্ষেত্রে ও হাসপাতালে চালু করতে কয়েক দশক লেগেছিল। সারাবাংলা
[৮] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে গুগল তাদের সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছে। গুগল বিভিন্ন উৎসব, দিবসসহ নানা আয়োজনে ডুডল তৈরি করে। দেশবিদেশ
আপনার মতামত লিখুন :