শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ২০ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দাউদকান্দিতে করোনার প্রভাবে বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম

এইচএম দিদার, দাউদকান্দি প্রতিনিধি: [২] করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিছে।হু হু করে বেড়েই চলছে চাল,ডাল, তেলসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর তখন ১ টা ৪০ মিনিট।দাউদকান্দির পৌরবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা আশিষ খাদ্য ভান্ডারে চাল কিনার জন্য যায় সুমন নামের এক যুবক। দরদম বলার আগেই দোকানদার বললো ভাই চাল শেষ।জানতে চাইলো কেনো?

[৩] দোকানদার ক্রেতাকে জানিয়ে দিলো- মহিলারা পুরো বাজারের চাল, ডাল, পেঁয়াজ সব নিয়ে গেছে। যুবকের কথা শোনে এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, গতকাল থেকে আজ চালের বস্তা প্রতি মূল্য বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০টাকা।পেঁয়াজের দাম গতকাল স্বাভাবিক ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর আজ দাম প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা,তেলের মূল্যও কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সব কিছুর দামই বেড়ে চলছে। এ যেনো এক লুটের রাজ্য। অথচ গত ২ দিন আগেও দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল ইসলাম খান বাজারের সকল পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাকে সচেতন করে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে ভোক্তার কাছে প্রয়োজন বা চাহিদার বেশি পণ্য বিক্রয় থেকে আপাদত বিরত থাকবেন"।

[৪] অথচ কোনো ব্যবসায়ীই মানছে না প্রশাসনের এমন কড়া নির্দেশনা, বিফল যাচ্ছে আইন কানুনের দোহাইও।

[৫] দ্রব্যমূল্যের দাম হঠাৎ কেনো বেড়ে গেলো এ বিষয়ে কথা হয়, বাজারে পাইকারি দোকানদার লীল মোহন ও প্রাণ ভল্লব শাহ'র (দোকানদার) তারা বললো,"মহিলা কাস্টমারের চাপ শামলানো কঠিন ছিলো,কাস্টমাররা(মহিলা) সদাই কিনার জন্য হুমরি খেয়ে পরছে।এই অবস্থা হলে

[৬] পণ্যের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেলে দামও বেড়ে যায়,কারণ আমাদের কিছু করার নেই, আমরা যে মোকাম থেকে মাল ক্রয় করে আনি তারা দাম বাড়ালেতো আমাদেরও বেশি দামে বিক্রয় করতে হয়।"

[৭] উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন," যে সব ব্যবসায়ী করোনার প্রভাবে দ্রবাদি বিক্রয় করে ক্রেতার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।"

[৮] এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খন্দকার বিল্লাল হোসেন এর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন" নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে বাজারে পণ্যের ক্রাইসিস তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধি করে, হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের কষ্টের টাকা।তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।"

[৯] স্থানীয় সমাজ কর্মী ও সাংবাদিক শরীফ প্রধান বলেন,"সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ মেয়াদী সাজার আওতায় আনুন।না হয় এর প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয় বলা মুশকিল। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিলো না।এর জন্য বেশি দায়ি পাইকারি দোকানদার ও এক শ্রেণির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী।"

[১০] পৌরবাজার ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী তৌফিকু ইসলাম বলেন, "দেশে এখনো লকডাউন ঘোষণা হয় নি অথচ এমন স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যেই এক শ্রেণির অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঝোপ বুঝে কোপ মারার অবস্থা তৈরী করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য,তৈজস ও অন্যান্য ভোগ্য পণ্যে ভোক্তাদের থেকে অধিক মুনাফা লাভে হাতিয়ে নিচ্ছে কষ্টের চাকায় পিষ্ট হওয়ার রক্ত ঘামের টাকা।" সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়