আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি : [২] "যখন শুনি সরাইল উপজেলার কোথাও নতুন করে দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছে, তখন বুকের বামপাশে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।"

[৩] বৃহস্পতিবার রাতে একথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো। তার দাবি, তিনি সরাইলের সন্তান না হলেও এখানে চাকরি'র সুবাদে এসে, এখানকার শান্তিপ্রিয় মানুষের ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। তাই তিনি সরাইলকে শান্তির জনপদ বানানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন।

[৪] জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের নানা পদক্ষেপে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সরাইলে দাঙ্গা রোধসহ নানা ক্ষেত্রে শান্তি বিরাজ করলেও গত কয়েকদিনে হঠাৎ শান্ত সরাইল ফের অশান্ত হয়ে ওঠে।

[৫] স্থানীয়রা জানান, গ্রামের রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশা চলাচলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউপির প্রত্যন্ত অঞ্চল কাকরিয়া ও রাণীদিয়া এ দুই গ্রামের লোকদের মাঝে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো'র নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শুধু তা-ই নয়, দাঙ্গা থামানোর পর পুলিশের এই ওসি সেখানকার দুই গ্রামের লোকদের সঙ্গে একাধিক দফায় কথা বলে তাদের বিরোধের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তা নিয়ে তাৎক্ষণিক দাঙ্গায় লিপ্ত সেই দুই গ্রামের সর্দারদের ডেকে সন্ধ্যায় অরুয়াইল ইউপি কার্যালয়ে আলোচনা সভায় বসেন এবং তাদের সকল সমস্যা শুনে সুষ্ঠু সমাধানের পাশাপাশি তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন। এসময় ওসির সঙ্গে সেখানে দিনব্যাপী ছিলেন সরাইল সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা ও সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল হক। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন।