আরএইচ রফিক,বগুড়া থেকে : বগুড়া- সোনাতলা –সারিয়াকন্দি নির্বাচনী আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাতে আকার ধারন করছে । তারই ধারাবাহিকতায় এবা একই স্থানে নির্বাচনী সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারিয়াকান্দিতে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার তাজুর পাড়া এলাকায়।
[২] এসময় স্থানীয় একটি বসতবাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
[৩]পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) নির্বাচনী আসনের উপ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে সারিয়াকান্দি উপজেলার পার-তিতপরল এলাকায় একটি নির্বাচনী সমাবেশ আহবান করে। পরে একই স্থানে আওয়ামী লীগও সমাবেশের ডাক দেয়।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে দুই পক্ষের মুখোমুখী অবস্থানে শংকা ছড়িয়ে পড়ে। একটি নির্ভিরযোগ্য সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধানের শীষের প্রার্থীর একটি গাড়িবহর পার তিতপরলের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাদের গাড়ী বহরটি তাজুরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে নৌকা প্রার্থীর লোকজন গাড়িবহরে হঠাৎ করেইে হামলা চালায় । এতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সেখানে গাড়ী বহরের ৩টি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে কটি বাড়ির খড়ের গাাদয় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সোনাতলা পৌর বিএনপির একটি দায়িত্বশীল অভিযোগ করে জানান , নৌকার কর্মীদের হামলায় কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের নেতা আব্দুস সাত্তারসহ ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে সারিয়াকান্দি আওয়ামী লীগের একটি সূত্র দাবী করে বলেন, উপজেলার তাজুরপাড়ায় বিএনপির গাড়িবহরের একটি গাড়ি নৌকার কর্মীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এনিয়ে সেখানে ধাওয়া পাল্টা পরে সংঘর্ষে রুপ নেয় ।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ জানায় , একজনের বাড়ির খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন দেয়। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় টান টান উত্তেজনা থাকায় সেকানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য অতি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী এলাকার বিএনপির প্রার্থী
পক্ষে অভিযোগ করে বলা হয় যে, ক্ষমতাসিন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পেশী শক্তি প্রয়োগ ও তাদের নির্বাচনী প্রতারনায় বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :