শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪৭ সকাল
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্টকহোমের করোনা পরিস্থিতি ও আমরা

চিররঞ্জন সরকার :  করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণে সারাবিশ্বই বিপর্যস্ত। সবখানে ভয়, আতঙ্ক, অসহায়তা। কোথাও কোনো সুসংবাদ নেই। পরিচিতজনরা যারা লন্ডন, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, প্যারিস, ইতালি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিতে রয়েছেন, ফেসবুকে-মেসেঞ্জারে-ফোনে তাদের যে খবর পাচ্ছি, তা মোটেও স্বস্তির নয়। উল্লিখিত সবগুলো দেশেই বর্তমানে প্রায় জরুরি পরিস্থিতি চলছে। সে সব দেশেও জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু, মাস্ক ইত্যাদির সংকট তো কোনো কোনো দেশে প্রবল। অনেক জায়গায় সুপারশপেও নাকি জিনিসপত্র মিলছে না।

সম্প্রতি একজন জানালো সুইডেনের স্টকহোমের চিত্র। তিনি লিখেছেন : ‘সুইডেনে বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, যদিও এর সত্যতা যাচাই করার উপায় নেই। গত তিন-চার দিন কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করছে না, কারণ এতে নাকি ‘প্যানিক’ বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু হয় না। মানুষের তাতে বিশেষ হেলদোল নেই, যদিও ১১ কোটির দেশে ১০০০ সংখ্যাটা খুব কম নয়। মানুষ এখানে ধৈর্যশীল। বহু লোকের করোনার সাধারণ লক্ষণ ধরা পড়ছে, তারা নিজের বাড়িতে বসে ১১৭৭-এ (এখানকার হেলথ-হেল্পলাইন নম্বর) ফোন করছেন, ফোনেই ডাক্তার বা নার্সরা তাদের ১৪ দিন বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করছেন, আর লোকে সেটা শুনছেন। আমার এক অফিস কলিগের মেয়ে ও তার সঙ্গী আক্রান্ত। তাদের আত্মীয়-স্বজন একদিন ছাড়া ব্যাগভর্তি বাজার করে তাদের বাড়ির দরজায় রেখে আসছেন, তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর আক্রান্ত পরিবারটি দরজা খুলে ব্যাগ নিয়ে নিচ্ছেন। এভাবেই তারা এখন প্রায় নিরাময়ের দোরগোড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ও তুলছেন না, আত্মীয়রাও কান্নার রোল তুলছেন না।

কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এ সব হচ্ছে। স্কুল-কলেজ সবই চলছে। সরকার বলছে, স্কুল যদি বন্ধ হয়ে যায়, ইমার্জেন্সি পরিষেবার (স্বাস্থ্য, পরিবহন, পুলিশ ইত্যাদি) সঙ্গে যুক্ত বাবা-মা’দের খুব সমস্যা হবে। এখানে প্রায় সব পরিবারেই বাবা-মা দু’জনই চাকরি করেন এবং সিঙ্গল মাদারের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। বাচ্চারা স্কুলে না গেলে, মা-বাবা যদি কাজে যান, দাদু-দিদিমারা বেবি-সিটারের ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের আক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের ভয় সবচেয়ে বেশি। আর স্কুল বন্ধ হলে টিনএজার পড়ুয়ারা যদি শপিংমল, সিটিসেন্টারে ঘুরে বেড়ায়, সংক্রমণ বাড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সরকার অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়ছে। দিন পাঁচেক আগে ইতালিফেরত একটি বিমান ২০০ জন যাত্রীসহ অবতরণ করে এখানকার আরলান্ডা বিমানবন্দরে। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসেন। এই নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। প্যানিকও একদম ছড়ায়নি বললে ভুল হবে। বড় বড় মুদির দোকান থেকে হুহু করে উধাও হয়ে যাচ্ছে প্রতি দিনের খাবার ও সরঞ্জাম’। উন্নত দেশগুলোর এই চিত্র দেখে-শুনে আমাদের দেশ নিয়ে আতঙ্কটা দিন দিন বাড়ছে। এতোদিন তো তবু ‘মুজিববর্ষের’ পর্দায় অনেক কিছু ‘ঢাকা’ ছিলো। ভাবছি কাল থেকে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়