সাইফুর রহমান : [২] জাপানের ফুজিফিল্মের সহযোগি প্রতিষ্ঠান তোয়ামা কেমিকেলের তৈরি ফাভিপিরাভির নামের এই ওষুধটি বেশ নিরাপদ এবং এর কার্যকারিতাও প্রমান হয়েছে বলে দাবি করেন চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ঝ্যাং জিনমিন। ইয়ন, দি গার্ডিয়ান, সিএনবিসি
[২] অ্যাভিগান নামের এই ওষুধটি ২০১৪ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইয়েলো ফীভার, ইবোলা এবং পায়ের ও মুখের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।
[৩] চীনের শেনজেন এবং উহানের আক্রান্ত ৩২০জন রোগীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানান জিনমিং।
[৪] জাপানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এনএইচকেও একই দাবি করে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়, এই ওষুধ প্রয়োগে শেনঝেন অঞ্চলের রোগীরা মাত্র ৪ দিনেই সুস্থ্য হয়েছেন। কিন্তু, অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করে একই এলাকায় রোগীদের সুস্থ্য হতে অন্তত ১১ দিন সময় লেগেছে।
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাভিগান প্রয়োগে রোগীদের ৯১ শতাংশের ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিন্তু অন্য ওষুধ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৬২ শতাংশ।
[৬] জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, যেসব রোগীর অবস্থা একেবারেই গুরুতর তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের খুব একটা কার্যকারিতা দেখা যায় নি। কিন্তু মাঝারি উপসর্গ সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা বেশ প্রশংসনীয়।
[৭] তবে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। এছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ হিসেবে বাজারে আসায় ঢালাওভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এর ব্যবহারেও জাপান সরকারের অনুমোদন লাগবে।